স্টাফ রিপোর্টার: দাদা টিকিট হবে? এক্সট্রা আছে নাকি? সে কি! ১৫০, ২০০ শেষ? ময়দান জুড়ে এদিক ওদিক এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ধরনের প্রশ্ন। অঘ্রানের শেষেও যেন কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিক এই কারণেই। ডার্বি টিকিটের জন্য মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের। মাঝে বাকি এখনও প্রায় ৪৮ ঘণ্টা । তবে তার আগেই বড় ম্যাচে টিকিটের হাহাকার উঠতে শুরু করেছে গড়ের মাঠে। ১৫০ ও ২০০ টাকার টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে গতকালই। আজ সকাল থেকে তাই চলছে ৩০০ টাকার টিকিট বিক্রি। তবে ৫০০ ও ১০০০ টাকার টিকিট এখনও বেশ কিছু রয়েছে। বিশ্বকাপের জন্য এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে যুবভারতীর দর্শক আসন। তার উপর রয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কড়াকড়ি। সব মিলিয়ে রবিবারের ম্যাচের জন্য আয়োজক ইস্টবেঙ্গল সব মিলিয়ে টিকিট ছাপিয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার ৭০০। যার মধ্যে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ ১৮ হাজার ।
এবারের টিকিট বণ্টন করা নিয়ে এবার বেশ প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ কয়েক বছর ধরেই টিকিট বণ্টন সংক্রান্ত ইস্যু বারবার সামনে এসেছে। একে অন্যকে দায়ী করে বলা হয়েছে আয়োজকরা অন্য পক্ষকে সমান টিকিট তো দিচ্ছেই না, প্রয়োজনের থেকে দেওয়া হচ্ছে অনেক কম টিকিট। ইস্টবেঙ্গল এবার তা করেনি। মাঠকে প্রায় সমান দু’ভাগে ভাগ করেছে তারা। যাতে মোহনবাগান সমর্থকরাও সমান অংশে মাঠে আসতে পারেন। এই চাহিদায় অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের থেকে কিছুটা এগিয়ে মোহনবাগান।
দুই ক্লাবেই ইতিমধ্যে ১৫০ ও ২০০ টাকার টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগানে যা অবস্থা, তাতে যখন তখন শেষ হয়ে যেতে পারে ৩০০ টাকার টিকিটও। একটু কম হলেও ৫০০ টাকার টিকিটও বিক্রি হচ্ছে অল্প অল্প করে। দুই ক্লাবের সদস্যদের জন্য ৬০০০ করে টিকিট রাখা হয়েছে। মোহনবাগান থেকে ইতিমধ্যেই ২৩০০ সদস্য নিজেদের টিকিট তুলে নিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও সোনি নর্ডি ফ্যাক্টরের জন্যই শত্রুশিবিরে চাহিদার হার একটু বেশি। তাদের ধারণা রবিবারের যুবভারতী থাকবে হাউসফুলই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.