সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাটারফ্লাই, ব্যাকস্ট্রোক, ব্রেস্টস্ট্রোক। সবরকম সাঁতারেই অসম্ভব পারদর্শী তিনি। ভাবতেই পারেন, এ আর নতুন কী! এতো সব সাঁতারুই পারেন। তা পারলেও আর পাঁচজন সাঁতারুর থেকে ২৬ বছরের বিশ্বাস কে এস-এর পার্থক্য একটাই। দু’টো হাতই খোয়া গিয়েছে তাঁর। তা সত্ত্বেও একগুচ্ছ পদকের মালিক তিনি।
তখন বিশ্বাসের বয়স ১০। তাদের বাড়ির ছাদের একটা দেওয়াল সারাইয়ের কাজ চলছিল। সেই দেওয়ালের কাঁচা সিমেন্টে জল দিচ্ছিল ছোট্ট বিশ্বাস। হঠাৎই পা পিছলে ইলেকট্রিকের তারের উপর পড়ে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা দৌড়ে এসে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বিশ্বাস প্রাণে বাঁচলেও, মৃত্যু হয় বাবার। এরপর প্রায় দু’মাস কোমায় ছিল বিশ্বাস। বাদ দিতে হয় হাত দুটোও।
তবে তাঁর ইচ্ছাশক্তির সামনে প্রতিবন্ধকতা কখনওই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দৃঢ় মনে প্রতিটা লড়াই লড়েছেন তিনি। স্নাতক হয়ে চাকরিও পেয়েছেন। আপাতত পরিবারের সঙ্গে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। চাকরির সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন সাঁতারও। সম্প্রতি কানাডায় প্যারা-সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি বিভাগে পদক জিতেছেন বিশ্বাস। তাঁর সাঁতারের সমস্ত খরচের ভার নিয়েছে দু’টি এনজিও সংস্থা। আস্থা ও ‘বুক আ স্মাইল’ নামে সংস্থা দু’টি বিশ্বাসের প্রশিক্ষক ও সাঁতার সংক্রান্ত সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
আগামী দিনে নিজেকে কোথায় দেখতে চান বিশ্বাস? আত্মবিশ্বাসী সাঁতারু বলেন, “২০২০ টোকিও ওলিম্পিকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখি আমি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.