Advertisement
Advertisement

ক্রিকেটের দুনিয়ায় এই ৭ কারণে আজও সেরা মহেন্দ্র সিং ধোনি

জন্মদিনে জেনে নিন ভারতীয় ক্রিকেটে 'সাত নম্বর জার্সি'র সাতকাহন।

This is what makes MS Dhoni stand high in the arena
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 7, 2017 11:55 am
  • Updated:July 7, 2017 11:55 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতায় কলমে তিনি এখন আর ভারতীয় দলের অধিনায়ক নন। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, তাঁর জায়গায় আসীন হয়েছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু আজও দলের প্রয়োজনে বা যেকোন দরকারে, মাঠের ভিতর হোক কিংবা মাঠের বাইরে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাহায্য নিতে কার্পণ্য করেন না বিরাট। ৭ জুলাই ২০১৭, ৩৬-এ পা দিলেন মাহি। ভারতীয় দলের সাত নম্বর জার্সিধারীর জন্মদিনে জেনে নিন সেই সাতটি কারণ, যার জন্য এখনও সেরা ধোনি।

[চিনি কেলেঙ্কারির টাকায় মনমোহনকে নিয়ে সিনেমা? বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেসের]

ঠান্ডা মাথা: অধিনায়ক থাকাকালীন খুবই কম সময়ই ধোনিকে রাগতে দেখা গিয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর এজন্যই তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলে ডাকা হয়। এখনও পর্যন্ত মাঠের ভিতর সবচেয়ে ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড় বোধহয় তিনিই।

Advertisement

টিমম্যান: কখনও কোনও টুর্নামেন্ট জিতলে, তার কৃতিত্ব একা নেননি মাহি। সবসময় সহ-খেলোয়াড়দের এগিয়ে দিয়েছেন সামনে। সেই সঙ্গে কৃতিত্ব দিয়েছেন বাকিদেরও। শুধু তাই নয়, ব্যাটিং অর্ডারে কখনও নিজেকে উপরে তুলে আনেননি। তবে দল যখনই বিপদে পড়েছে, তখনই এগিয়ে এসেছেন বিপদ থেকে দলকে বাঁচাতে। যেমন, ২০১১ সালে মুম্বইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেদিন দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে নেমেছিলেন তিনি।

[ভারি বৃষ্টিতে জলবন্দি শহর, নাকাল আমজনতা]

তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা: অধিনায়কের চেয়ারে বসার পর থেকেই তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতি নিজের আস্থা দেখিয়েছেন মাহি। সবসময় তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরেও তাঁদের সাহায্য করতে কসুর করেন না ধোনি। অনেক তরুণ ক্রিকেটারই মাহি-র প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।

সবসময় ‘প্ল্যান বি’ তৈরি রাখা: অনেকসময়েই দেখা যায় হঠাৎ করে ম্যাচের পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে। অধিনায়কের কোনও পরিকল্পনা তখন কাজে আসছে না। আর এখানেই ধোনি কিন্তু সেরা। যখনই দেখেছেন তাঁর কোনও প্ল্যান কাজ করছে না, ঝুলি থেকে বের করেছেন ‘প্ল্যান বি’। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এখনও প্রয়োজন পড়লে বিরাটকে পরামর্শ দিতে কসুর করেন না।

[‘দাঙ্গা যাদের ধর্ম তারা আমার বন্ধু নয়’]

অভিনবত্ব: বাইশ গজে ধোনির মতো অভিনবত্ব খুব কম অধিনায়কই দেখাতে পেরেছেন। গতে বাঁধা নিয়ম থেকে বরাবরই আলাদা কিছু করেছেন তিনি। সেটা ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভার যোগিন্দর শর্মাকে দিয়ে করানো হোক কিংবা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ওভার করানো, সবেতেই কিন্তু সফল মহেন্দ্র সিং ধোনি।

স্টাম্পিং এবং ডিআরএস: বর্তমানে ধোনি আরও একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। সেটা হল ডিআরএস রিভিউ এবং স্টাম্প আউট। দু’টি ক্ষেত্রেই নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণ করেছেন তিনি। শেষ কয়েকটি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত সব স্টাম্প আউট করেছেন তিনি। যার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিতও হয়েছেন। আর ডিআরএসের ক্ষেত্রে বারবার দেখা দিয়েছে ম্যাচ চলাকালীনও ক্যাপ্টেন কোহলি পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁর পূর্বসূরীর কাছ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো তা নিয়ে বেশ কয়েকটি মিমও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে।

ফিনিশার ধোনি: ম্যাচ ফিনিশ করা ধোনির সবচেয়ে পুরানো এবং চর্চিত ক্ষমতা। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে এখনও দল তাঁর চওড়া ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকে। বাইশ গজে মাহি থাকা মানেই যেকোনও কঠিন পরিস্থিতি তিনি সামলে দেবেন। যদিও শেষ কয়েকটি ইনিংসে তাঁর ব্যাটে সেই ঝড় নেই। কিন্তু ক্যাপ্টেন কোহলি এখনও যে ধোনির উপর ভরসা করেন, সেটা অবশ্য বুঝিয়েও দিয়েছেন তিনি।

[বিক্রমের গ্রেপ্তারি নিয়ে বিস্ফোরক সাহেব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement