সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় দিয়েছেন। যে তরুণ ক্রিকেটারের হাতে একসময় তিনি উপহার তুলে দিয়েছিলেন, তাঁর নেতৃত্বেই শেষ ম্যাচ খেলে বিদায় নিয়েছেন। আশিস নেহরার কাছে এ যেন বৃত্ত পূরণ হওয়া। আর তাঁর অবসরের পর তাঁকে নিয়ে আও বেশি করে চর্চায় মেতেছেন সতীর্থরা।
[ ডাগ আউটে ওয়াকি-টকি হাতে কোহলি, বিতর্কে কী নিদান আইসিসির? ]
এরকমই একটা ঘটনার কথা জানাচ্ছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হেমাঙ্গ বাদানি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানটান ম্যাচ। ভারতের সংগ্রহে ছিল ৩৫০ রান। শেষ ওভারে পাকিস্তানকে জিততে হলে দরকার ৯ কি ১০ রান। ক্রিজে তখন জাঁকিয়ে বসেছেন মইন খান। সেই মুহূর্তে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কার হাতে বল তুলে দেবেন ভাবছিলেন। নেহরাই তখন দৌড়ে আসেন। বলেন, ‘আমায় বল দাও দাদা। আমি শেষ ওভার করছি। ম্যাচ জিতিয়ে দেব। শেষমেশ তাঁর যুক্তি মেনে নেন সৌরভ।’ আর বল হাতে পেয়েই কামাল করেন নেহরা। মইন খানকে ফিরিয়ে দেন। সেই ম্যাচ জিতে চায় ভারত। বলা যায় নেহরার আত্মবিশ্বাসই সেদিন অধিনায়কের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিল।
[ উদ্বোধনের বদলে কলকাতা পেল আইএসএলের ফাইনাল ]
বিদায়ী বক্তৃতা দেওয়ার পর সঞ্জয় মঞ্জেরকর তাঁকে হ্যাপি রিটায়ার্ড লাইফ উইশ করেছিলেন। জবাবে নেহরা বলেছিলেন, তিনি সবসময়ই হ্যাপি। সে কথা তুলে এনেই আর এক সতীর্থ যুবরাজ সিং জানালেন, নেহরার সঙ্গে থাকলে কখনও কারও দিন খারাপ যায় না। নেহরার আরও এক বৈশিষ্ট্য সামনে এনেছেন যুবরাজ। জানিয়েছেন, নেহরা সরল সাধাসিধে ও যেটা ভাল মনে করেন তা বলে দেন। আর সেকারণে তাঁকে অনেক মাশুলও দিতে হয়েছে। তবে এমন সুভদ্র, বিনয়ী ও পরিশ্রমী ক্রিকেটার ভারত বোধহয় আর পাবে না। ভি ভি এস লক্ষণ জানাচ্ছিলেন, টানা ১২টি সার্জারি নিয়েও শেষদিন পর্যন্ত ১৩৫কিমি বেগে বল করে গেল। এটাই আশিস নেহরা। তাঁর অবসরের মুহূর্ত যেন আরও রঙিন করে তুলছেন সতীর্থরা, একমই স্মৃতিচারণে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.