সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়ে ফিরল গত ১৬ জানুয়ারির স্মৃতি। ইস্টবেঙ্গলের পর এবার আইজল সমর্থকদের রোষের মুখে পড়লেন রেফারি এবং মোহনবাগানের ফুটবলাররা।
বৃহস্পতিবার এগিয়ে গিয়েও ড্র করেই ম্যাচ শেষ করে আইজল। পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে এক পয়েন্ট ঘরে তোলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আর ম্যাচ শেষ হতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্যালারি। শুধু মোহনবাগানকে পেনাল্টি দেওয়াই নয়, আইজলকে প্রাপ্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইজলের সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, বাগান ফুটবলার হ্যান্ডবল করা সত্ত্বেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয়ার্ধের শেষে অ্যালফ্রেডকে লাল কার্ড দেখানো হয়। রেফারির এমন সব সিদ্ধান্তে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন আইজল সমর্থকরা। অভিযোগ, বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্যালারি থেকে বোতল ও চেয়ার ছোড়েন তাঁরা। এমনকী রেফারিদের মাঠ থেকে বেরতে দেওয়াও হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রায় ঘণ্টাখানেক ডাগআউটেই বসে থাকতে হয় রেফারি ও লাইন্সম্যানদের। ক্ষোভের আগুনের আঁচ এসে পড়ে সবুজ-মেরুন ড্রেসিংরুমেও। মোহনবাগান ম্যানেজার জানান, ড্রেসিংরুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সমর্থকরা। ফলে ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ভিতরেই আটকে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর তাঁরা স্টেডিয়াম থেকে বেরতে পারেন। তবে তখনও পর্যন্ত রেফারিরা মাঠেই ছিলেন।
সপ্তাহে দুয়েক আগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর কোচ খালিদ জামিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন আইজল ভক্তরা। আইজলকে যে কোচ প্রথমবার আই লিগ জিতিয়েছিলেন, সেই খালিদ জামিল ইস্টবেঙ্গলে চলে যাওয়াতেই ক্ষুদ্ধ ছিলেন তাঁরা। তাই ঘরের মাঠে তাঁকে পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হন ফ্যানরা। তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। এদিনও একই ছবি ধরা পড়ল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। তাই ফের আই লিগের ম্যাচ ঘিরে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন বারবার এভাবে হেনস্তা হতে হবে বিপক্ষের ফুটবলারদের? সেই প্রশ্নেই জর্জরিত আয়োজকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.