সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র ২০ বছর। তাতেই এসেছে একাধিক সাফল্য। সামনে পড়েছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দেশকে আরও কিছু দেওয়ার প্রতিভা ছিল তাঁর মধ্যে। কিন্তু মাত্র ২০ বছরেই সব শেষ। অকালে নিজের প্রাণ নিলেন জাতীয় মহিলা হকি দলের খেলোয়াড় জ্যোতি গুপ্তা।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে রেওয়ারি রেল স্টেশনের দিকে আসা একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন হরিয়ানার সোনপতের ওই যুবতী। স্থানীয়রাই তাঁর ক্ষত-বিক্ষত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, তাঁর শংসাপত্রে নামের বানান ভুল আছে। তাই তা ঠিক করতে রোহতকে মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তিনি। জ্যোতির পরিবারের লোক জানান, ফেরার পথে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি যে বাসে আসছেন, তা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সন্ধের মধ্যেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি বলে জানান তাঁর বাবা-মা। রাতে পুলিশ যখন রেওয়ারি স্টেশন থেকে জ্যোতির দেহ উদ্ধার করে, তখনও তাঁর ফোনটি বাজছিল। বাড়ি নম্বর থেকেই আসছিল ফোন। সেই সময় ফোন তুলে পুলিশই তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তখনই জ্যোতির পরিচয় জানা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জয়পুরগামী ট্রেনে কাটা পড়েন জ্যোতি। সেই ট্রেনের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, আচমকাই চলন্ত ট্রেনের সামনে চলে আসেন জ্যোতি। কিন্তু হকি খেলোয়াড়ের বাড়ির লোকের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। আত্মহননের মতো কোনও পরিস্থিতির মধ্যেই ছিলেন না তিনি। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পরিবার। তাঁদের দাবি, কেউ ইচ্ছা করেও তাঁকে ট্রেনের ট্র্যাকে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। তাই একে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে নারাজ তাঁরা। রেওয়ারি জিআরপি এসএইচও বলেন, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। জ্যোতির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন জ্যোতি। এছাড়াও, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন। জ্যোতির কোচ জানান, আগামী সপ্তাহেই বেঙ্গালুরুতে প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে হঠাৎই জ্যোতির মৃত্যুর ঘটনায় গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.