Advertisement
Advertisement

প্রোটিয়া বধ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে বিরাটবাহিনী

ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির দুরন্ত ইনিংসে ভর করে এল জয়৷

Team India beat South Africa and through to Champions Trophy Semi final
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 11, 2017 3:43 pm
  • Updated:June 11, 2017 4:07 pm  

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯১ [৪৪.৩ ওভার] (ডি কক-৫৩, ডু প্লেসি-৩৬)

ভারত: ১৯৩/২ [৩৮ ওভার] (ধাওয়ান-৭৮, বিরাট- ৭৬*)

Advertisement

৮ উইকেটে জয়ী ভারত

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল৷ কলম্বোতে প্রোটিয়া বধ করে ফাইনালে পৌঁছে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া৷ সেবারও ‘চোকার্স’ তকমা জুটেছিল জন্টি রোডসদের ভাগ্যে৷ কাট টু ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’৷ কেনিংটন ওভালে বিরাট কোহলির দলের বিরুদ্ধেও ভাগ্যরেখা বদলাতে পারলেন না এ বি ডিভিলিয়ার্সরা৷ ফের ‘চোকার্স’ তকমাকে সঙ্গী করেই টুর্নামেন্টকে বিদায় জানাতে হচ্ছে তাঁদের৷ অন্যদিকে ডু অর ডাই ম্যাচ পকেটে পুরে শেষ চারে পাকা করল টিম ইন্ডিয়া৷

[কোচ বাছাইয়ের জন্য বোর্ডের কাছে পারিশ্রমিক চাইলেন সৌরভরা]

এদিন লড়াইটা ছিল একদিনের ম্যাচে বিশ্বের এক ভারত বনাম দু’নম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার৷ লড়াইটা ছিল বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান এ বি বনাম তিন নম্বর ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির৷ লড়াইটা ছিল আইপিএল-এ একই দলে খেলা দুই তারকা বনাম দেশের জার্সি গায়ে খেলা দুই নেতার৷ রবিবাসরীয় ওভালে সব বিভাগেই ডিভিলিয়ার্সকে পিছনে ফেলে দিলেন বিরাট৷ শ্রীলঙ্কার কাছে হারের গ্লানি মুছে ফেলে সেমিফাইনালে উঠতে ধোনিরা ঠিক কতটা মরিয়া ছিল, তা ভারতীয় দলের প্রতিটি পদক্ষেপেই স্পষ্ট৷ হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকা সত্ত্বেও যেমন পাকিস্তান ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাননি ক্যাপ্টেন কোহলি, তেমনই অশ্বিনকে প্রথম একাদশে নেওয়ার গুরুত্বটাও বুঝেছিলেন৷ উমেশ যাদবের বিরুদ্ধে তাই অশ্বিনকে দলে রেখেছিলেন৷ প্রাক্তনরাও প্রথম ম্যাচ থেকেই অশ্বিনকে দলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে যাচ্ছিলেন৷ কাউকেই হতাশ করলেন না তিনি৷ ওভালের বাইশ গজে জমে ওঠা প্রোটিয়া পার্টনারশিপে প্রথম ধাক্কাটা দিলেন ভারতীয় স্পিনারই৷ দুরন্ত ফর্মে থাকা হাশিম আমলাকে তুলে নিতেই খেলার মোড় ঘোরে ভারতের দিকে৷ আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডিভিলিয়ার্স (১৬) ও মিলার (১) যেভাবে রান আউট হলেন, তাতে এদিন রাতে আর তাঁদের ঘুম হওয়ার কথা নয়৷ এক ইনিংসে ডিভিলিয়ার্স আর অন্য ইনিংসে বিরাটের লম্বা ইনিংস দেখতেই তো মাঠে হাজির হয়েছিলেন দর্শকরা৷ একজন না পারলেও অবশ্য অন্যজন সেই ইচ্ছে পূরণ করলেন৷ তিনি বিরাট কোহলি৷ পাক ম্যাচের মতোই এদিন দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করে আরও একবার দলের জয়ের কাণ্ডারি হয়ে উঠলেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মজা করে লিখতে শুরু করেছেন, এদিন নিশ্চয়ই আর পাক সাংবাদিক জইনাব আব্বাসের সঙ্গে সেলফি তোলেননি বিরাট৷ তাই কোনও অঘটন ঘটেনি৷

দিন দুয়েক আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ইনিংসটার কথা মনে আছে? ৩৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মোরতাজারা৷ সেখান থেকে জোড়া সেঞ্চুরির দৌলতে কিউয়িদের হারিয়েই দিল বাংলাদেশ৷ এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটা ছিল ঠিক উল্টো৷ ৭৫ রানের পর প্রথম উইকেট হারাল দল৷ ডি কক-আমলা গাঁট যেন ছাড়ছিলই না৷ আর তারপরের ১১৫ রানের মধ্যেই গোটা দল গুটিয়ে গেল৷ টেল-এন্ডারদের টিকতেই দিলেন না বুমরাহ (২), ভুবনেশ্বর কুমাররা (২)৷

রোহিত শর্মা ১২ রানে আউট হলেও এদিন অবশ্য দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন শিখর ধাওয়ান৷ ১২টি চার ও ১ ছয় হাঁকিয়ে ৭৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি৷ তারপর বিরাটের সঙ্গ দিলেন যুবরাজ সিং (২৩*)৷ দুরন্ত ইনিংসের পরও যদিও এমন দুরন্ত জয়ের জন্য বোলারদেরই বেশি করে কৃতিত্ব দিলেন বিরাট৷ সোমবার শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান ম্যাচে যে জিতবে সে পৌঁছে যাবে শেষ চারে৷

[ঘরের মাঠে মোহনবাগানকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড এফসি পুণে সিটির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement