মোহনবাগান: ৩ (ফৈয়াজ, নিখিল, লরেন্স-আত্মঘাতী)
শিলং লাজং: ১ (কফি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশি ক্লাব আগেই শেষ চারের জায়গা পাকা করে ফেলেছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরাও পারবে তো? সেদিকেই নজর ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। বুধবারের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কোনও অঘটন ঘটল না। উত্তপ্ত ওড়িশায় পাহাড় টপকে সুপার কাপের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল টিম মোহনবাগান।
গরমে হাসফাঁস করছে ওড়িশা। পাহাড়ের সেই মনোরম শীতল পরিবেশ সেখানে কোথায়? আর এটাই ছিল লাজংয়ের বিরুদ্ধে শংকরলাল চক্রবর্তীর অ্যাডভানটেজ। গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়া স্যামুয়েল-কফিদের বিরুদ্ধে জোরদার আক্রমণ শানিয়েই বাজিমাত করলেন আক্রম-ডিকারা। তবে শুধু তিন-তিনটে গোলে জয়ই না, শংকরলালকে এদিন স্বস্তি দিচ্ছে দলগত প্রচেষ্টা। সোনি নর্ডি থাকাকালীন তাঁর উপরই নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল গোটা দল। তবে সেসব এখন উধাও। প্রত্যেকের মধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ স্পষ্ট। ওয়াটসন থেকে নিখিল, ডিকা প্রত্যেক ফুটবলারের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া লক্ষ্য করা গেল। গোটা মাঠ জুড়ে দাপট দেখালেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। তিনটে গোল হল ঠিকই। তবে আরও কিছু ভাল গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাঁরা। স্ট্রাইকার, ডিফেন্ডারদের মতোই তেকাঠির নিচে নজর কাড়লেন শিল্টন পাল। যে স্যামুয়েলকে নিয়ে চিন্তায় ছিল বাগান শিবির, সেই তারকা স্ট্রাইকারের পেনাল্টি শট আটকে দিয়ে সমর্থকদের মন কাড়লেন বাগানের বাজপাখি।
ফৈয়াজের দুর্দান্ত গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় বাগান। তবে সন্দেহ দানা বাঁধে দ্বিতীয় গোল নিয়ে। রিপ্লে না দেখলেও বোঝা যাবে নিখিল কদমের শটটা বারে লেগে গোললাইন পেরিয়ে লাজং কিপারের হাতে জমা হয়। কিন্তু রেফারি যে গোল ঘোষণা করলেন না। আবার খেলাও শুরু হয়ে গেল! ব্যাপারটা কী? বুঝে উঠতে পারছিলেন না গ্যালারিতে হাজির মোহনবাগান সমর্থকরাও। কিন্তু জল্পনা কাটল কিছুক্ষণ পরই। লাজংয়ের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। একটি গোল শোধ করে যখন কিছুটা ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল লাজং, তখনই নিজের দলের খেলোয়াড়ের ভুলেই শেষ চারে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হল। পাহাড়ি দলকে হারিয়ে সুপার কাপেও আই লিগের স্মৃতি ফেরালেন ডিকারা। আর সেই সঙ্গে এই টুর্নামেন্টেও ইস্ট-মোহন ডার্বি দেখার স্বপ্ন জিইয়ে রাখল গঙ্গাপারের ক্লাব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.