ইস্টবেঙ্গল: ১ (ডুডু)
এফসি গোয়া: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর আগে দুই শিবিরের ছবি ছিল এক্কেবারে বিপরীত৷ এক দল মাঠে নামার আগেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল অনেকটা৷ আর অন্য শিবিরে সেটাই ছিল অ্যাডভান্টেজ৷ তা সত্ত্বেও সেমিফাইনালের মতোই হল লড়াইটা৷ আর খানিকটা প্রত্যাশিতভাবেই সেই লড়াই জিতে সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল৷
Full time at the Kalinga Stadium where @eastbengalfc have sealed their spot in the inaugural #HeroSuperCup final.#HeroSuperCup #EBvFCG pic.twitter.com/fVk3dk7WxM
— Indian Super League (@IndSuperLeague) April 16, 2018
সোমবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মাত্র তিনজন ফুটবলারকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে দলকে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামিয়েছিলেন গোয়া কোচ ডেরেক পেরেরা। কার্ড সমস্যা, চোট সমস্যায় জর্জরিত দলের কোচের হাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর মতো বিকল্পই ছিল না৷ তা সত্ত্বেও ছেলেদের লড়াই জারি রাখতে বললেন তিনি৷ খাতায়-কলমে ‘দুর্বল’ হলেও মনের জোরেই ৭৯ মিনিট পর্যন্ত গোল হজম না করে লড়াইয়ে টিকে থাকলেন গোয়ার ফুটবলাররা৷ শুধু কি তাই? ডেরেকের হাল যখন হারাধনের মতো, তখন আবার এদিন লাল কার্ড দেখে বসলেন গোয়ার এডু৷ এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এই বা কম কী! কাটসুমি, ডুডুদের একাধিক হানা সামলে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন গোয়ার ডিফেন্ডাররা৷ তাছাড়া খেলার শেষ মুহূর্তে লাল-হলুদ ডেরায় ঢুকে রক্ষণকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন চুল্লোভা, কোরোরা৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি৷ দ্বিতীয়ার্ধে কাটসুমির মাপা সেন্টার থেকে বল জালে ঠেলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল খালিদ জামিলের দল৷
গোয়ার টালমাটাল অবস্থাতেও নিজেদের একবারের জন্যও এগিয়ে রাখেননি খালিদ৷ ছেলেরা যাতে কোনওরকমভাবে আত্মতুষ্টিতে না ভোগে, সেদিকেই নজর ছিল খালিদ-সুভাষের৷ ডুডু-আমনারাও জানতেন, এ ম্যাচে তাঁদের উপর অনেকখানি দায়িত্ব৷ তাই টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এসে কোনওভাবেই আর পিছনে তাকানো চলবে না৷ আই লিগ হাতছাড়া হয়েছে৷ তাই সুপার কাপ জিতেই মরশুমটা শেষ করতে বদ্ধপরিকর লাল-হলুদ ব্রিগেড৷ সেই লক্ষ্যেই এদিন আরও একধাপ এগোলেন খালিদ৷ ফাইনালে তাঁদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু অথবা মোহনবাগান৷ তবে শহরের ফুটবলপ্রেমীরা ফাইনালে ডার্বি দেখতেই মুখিয়ে রয়েছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.