Advertisement
Advertisement

বেঙ্গালুরুর পেশাদারিত্বের কাছেই হার, সুপার কাপ থেকে বিদায় মোহনবাগানের

গোলের হ্যাটট্রিক নিকোলাসের।

Super Cup: Bengaluru FC beats Mohun Bagan, enters final
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 17, 2018 5:58 pm
  • Updated:November 20, 2018 6:12 pm  

বেঙ্গালুরু এফসি: ৪ (নিকোলাস-৩, ছেত্রী)

মোহনবাগান: ২ (ডিকা)

Advertisement

সোম রায়, ভুবনেশ্বর: ৮৭ মিনিটে বেঙ্গালুরু এফসি পেনাল্টি পাওয়ার আগে পর্যন্তও আশায় বুক বেঁধেছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। এই বুঝি দলকে সমতায় ফেরাবেন নিখিল কদম কিংবা আক্রম। কিন্তু তারপরই সব শেষ। দশজনের বেঙ্গালুরুও যে এতটা খতরনাক হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। বিশ্বমানের একটি গোল করে সুপার কাপে মোহনবাগানের অভিযান থামিয়ে দিলেন সুনীল ছেত্রী।

[ইডেনে ম্যাচের পরই শামিকে তলব লালবাজারের ]

গত বছর ফেডারেশন কাপে এই বেঙ্গালুরুর কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল গঙ্গাপারের ক্লাবের। এদিন কলিঙ্গয় সেই স্মৃতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটল। কোচ শংকরলাল যতই ছেলেদের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বালান না কেন, বেঙ্গালুরুর প্রফেশনালিজমের কাছে হার মানতে হল প্রতিপক্ষকে। নাহলে কী আর এক গোলে পিছিয়েও দশজনের দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে? গতি বাড়িয়ে চার-চারবার বাগান ডিফেন্স চিড়ে ফেলতে পারে? ৫০ মিনিট পর্যন্ত ভাগ্যদেবী যেন সহায় ছিলেন মোহনবাগানের দিকেই। ডিকার দুরন্ত গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়া, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিশুর লাল কার্ড দেখার মতো ঘটনাগুলোই তো অ্যাডভান্টেজ ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কাছে। কিন্তু নাহ, যে দলটা ভারতীয় ফুটবলকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিচ্ছে দিন দিন, তাদের কাছে এসব প্রতিকূলতা বেশ তুচ্ছ। তাই তো সে সময় খেলার গতি বাড়িয়ে দিলেন আলবের্তো রোকা ছেলেরা। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারলেন না আক্রম, ওয়াটসনরা। আর তারপরই একই পজিশন থেকে পর পর দুটো দুর্দান্ত গোলে দলকে এগিয়ে দিলেন নিকোলাস। যাঁর বিরুদ্ধে আলাদা করে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছিলেন শংকরলাল। কিন্তু কাজে এল না কোনও ওষুধই।

[প্রাক্তনের বিরুদ্ধে বর্তমানের জয়, বড় রানে ভর করেই গম্ভীরের দিল্লিকে হারাল কেকেআর]

এমন অবস্থাতেও যখন বক্সে ফাউল করেন কোনও ফুটবলার, তখন জয়ের আশা এমনিও আর থাকে না। সেটাই হল। সুনীল ছেত্রী হ্যাটট্রিক করে দলকে শেষ চারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর এদিন হ্যাটট্রিক করে দলকে ফাইনালে তুললেন নিকোলাস। বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন সেই অধিনায়কই। আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত নিদর্শন রেখে প্রতিপক্ষকে যেন অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেল এই দলটা। ফাইনালে আর ফুটবলপ্রেমীদের ডার্বি দেখার স্বপ্নপূরণ হল না। তবে বেঙ্গালুরুর বিশ্বমানের পারফরম্যান্স দেখার আরও একটা সুযোগ রইল তাঁদের কাছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement