সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অহং বোধ বেশি। এতটাই ইগো যে তাঁরা এসে প্রাক্তনদের পরামর্শ পর্যন্ত নেন না। এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা টেকনিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন। অথচ একজনও এসে সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তনের কাছ থেকে পরামর্শ চাননি। যা দেখে বিস্মিত হয়েছেন স্বয়ং গাভাসকরও।
লিটল মাস্টার সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন, ”ব্যাটসম্যানরা যদি একই ভুল বারংবার করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাটসম্যানকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, সমস্যাটা কোন জায়গায়? সেই ব্যাটসম্যান কীভাবে উন্নতি করবে তা জানানো উচিত? অন্যরকম গার্ড নেওয়ার দরকার আছে কিনা তাও বলা উচিত ব্যাটসম্যানকে?” কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এই পরামর্শ দিতে পারেননি সুনীল গাভাসকর।
ভারতের সর্বকালের সেরা ওপেনার অতীতে বীরেন্দ্র শেহওয়াগকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময়ে নজফগড়ের নবাব রান পাচ্ছিলেন না। গাভাসকরের পরামর্শ পেয়ে বীরু রানে ফেরেন। লিটল মাস্টার বলছেন, ”একসময়ে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ রান পাচ্ছিল না। আমি শেহওয়াগকে বলেছিলাম, বীরু অফ স্টাম্প গার্ড নিয়ে দেখতে পারো। শেহওয়াগ পালটা জিজ্ঞাসা করেন, কেন সানি ভাই?”
বীরুকে গাভাসকর বুঝিয়ে বলেছিলেন, ”তুমি দারুণ ফুটওয়ার্কের জন্য পরিচিত নও। কখনও কখনও বল তাড়া করে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাচ্ছো তুমি। ফলে তুমি যদি অফ স্টাম্প গার্ড নাও, তাহলে তোমার সুবিধা হতে পারে। তুমি অনেক আগেই বুঝতে পারবে বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে।”
খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে কোনও সমস্যা নেই গাভাসকরের। অতীতেও করেছেন তিনি। কিন্তু এই ভারতীয় দলের কেউ এগিয়ে এসে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ চান না। তাছাড়া ভারতীয় দলে দু’ জন কোচ রয়েছেন। এর পরেও তিনি যদি পরামর্শ দিতে যান, তাহলে সমস্যা বাড়তেই পারে।
গাভাসকর বলছেন, ”ভারতের কোনও ব্যাটম্যানই আমার কাছে আসেনি। রাহুল দ্রাবিড়, শচীন তেণ্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটার আমার কাছে প্রায়ই আসত। নির্দিষ্ট সমস্যা থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, সেই ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করত। আমার কোনও ইগো নেই। আমি গিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলতেই পারি। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় ও বিক্রম রাঠোর–দু’ জন কোচ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত করাই উচিত। অতিরিক্ত তথ্য অনেক সময়ে সমস্যা তৈরি করতেই পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.