সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনার অবসান৷ পাক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না৷ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাসকর৷ না যাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত সমস্যা ও ব্যস্ততাকে৷ যদিও তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ বরং তারা বলছেন, দেশের স্বার্থকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গাভাসকর৷ দেশকে গুরুত্ব দিয়ে, ‘পরম বন্ধু’ ইমরানের বিশেষ দিনে উপস্থিত থাকা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন তিনি৷
[চিনের উপর নজরদারিতে অর্ধশতক আগে গোপন অভিযান ইন্দো-মার্কিন গোয়েন্দাদের!]
পাক নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা হওয়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়, ভাবি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ নিয়ে৷ প্রথমে জল্পনা ছড়ায়, ১১ আগস্ট শপথ নেবেন ইমরান খান৷ তারপর জানা যায়, ১৪ আগস্ট, পাক স্বাধীনতা দিবসের দিন শপথ নেবেন তিনি৷ কেবল শপথগ্রহণের দিনক্ষণই নয়, অতিথি তালিকায় কোন কোন ভারতীয় বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাবেন প্রাক্তন এই পাক ক্রিকেট অধিনায়ক, তাই নিয়েও দানা বাঁধে কৌতূহল৷ অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান হয় শনিবার৷ জানা যায়, আগামী ১৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) প্রধান এবং আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের তিন তারকার, সুনীল গাভাসকর, অনিল কুম্বলে ও নভজ্যোত সিং সিধু৷ তবে এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক৷ স্পষ্ট ভাষায় আমন্ত্রণ গ্রহণে অস্বীকার করেন ‘লিটল মাস্টার’ সুনীল গাভাসকর৷ মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে জানিয়ে দেন, ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তনি৷ ফলে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না৷ পাশাপাশি জানা গিয়েছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধু৷ ইতিমধ্যে, এই সংক্রান্ত অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি৷
[অত্যাধুনিক রুশ কায়দায় এবার যুদ্ধকৌশল শিখবে পাক সেনা]
বন্ধু ইমরানের শপথ গ্রহণে না যাওয়ার জন্য সুনীল গাভাসকর ব্যস্ততার যুক্তি দিলেও তা ঠিক হজম করতে পারছেন না আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা৷ অনুমান, ভারত-পাক বর্তমান সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে এবং দেশের স্বার্থকে এগিয়ে রেখেই ‘পরম বন্ধু’কে ‘না’ বলার সাহস দেখাতে পেরেছেন তিনি৷ কারণ, পাক নির্বাচনে জয়ের পর প্রথম জাতীয় উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণই হোক বা নির্বাচনী প্রচার, কখনই ভারতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেননি পিটিআই প্রধান ইমরান খান৷ নির্বাচনী প্রচারে একাধিক সময়ে তাকে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে৷ যার ফলে তিনি বাহবা কুড়িয়েছেন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির৷ এমনকি, জয়ী ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম ভাষণেও কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে খোঁচা দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে৷ সমগ্র ভাষণের কোথাও উল্লেখ করেননি সন্ত্রাসবাদের ইস্যুকে৷ এমনকি পাক সেনা ও আইএসআই-এর মন্ত্রে কাজ করারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এহেন ইমরানের শপথে হাজির না থেকে আদতে দেশকেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন সুনীল গাভাসকর৷ মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.