সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। বহু ব্যবহৃত শব্দটা যে কত সঠিক, তা আরও একবার প্রমাণ করে দেখালেন দুই মোহনবাগান কর্তা সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্ত। দলের কিছু অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন এই দুই কর্তা। তারপরই ক্লাব থেকে তাঁদের পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও প্রাণাধিক প্রিয় মোহনবাগানের কাজ করতে অসুবিধা হয়নি তাঁদের। প্রথমে সৃঞ্জয়-দেবাশিসের নেতৃত্বে তৈরি কমিটি আগামী মরশুমের দলগঠন করে। এরপর লিগ শুরুর আগে লাস্ট ল্যাপে ক্লাবে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হলেন এই দুই কর্তা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে দিলেন দুই প্রশ্নের সমাধান। যা তিনি শেষ কয়েকদিন বারবার খুঁজেও পাননি বর্তমান কর্তাদের থেকে। প্রশ্ন এক, ডিকা কবে আসবেন? প্রশ্ন দুই, কলকাতা লিগে কী পাওয়া যাবে মিনার্ভা থেকে আসা তিন ফুটবলার সুখদেব সিং, অভিষেক আম্বেকর ও মইনুদ্দিন খানকে?
সৃঞ্জয়-দেবাশিসের থেকে প্রথম মাস্টারস্ট্রোকটি এল সোমবার সকালে। ক্যামেরুনের দূতাবাসে যোগাযোগ করে দ্রুত আনা হল ডিকার ভিসা। এতদিন তিনি পেতেন সর্বোচ্চ ছ’মাসের ভিসা। এবার গোটা বছরের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে ফেলা হল। এরপর দ্বিতীয় মাস্টারস্ট্রোক। মোহনবাগান দিবসেই সৃঞ্জয়-দেবাশিস জানিয়েছিলেন, মিনার্ভা থেকে আসা ফুটবলারদের ট্রান্সফার ফি সংক্রান্ত জটিলতা তাঁরা কাটিয়ে দেবেন। সেই মতো এ দিন সকালেই টুটু বোস তাঁর কোম্পানি থেকে টাকা ক্লাবকে দিয়ে দেন। এবং বিকেলের মধ্যেই মইনুদ্দিন ও অভিষেকের ট্রান্সফার ফি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সুখদেবের বিষয়টি যেহেতু ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অধীনস্থ, তাই তাঁর ট্রান্সফার ফি পাঠানো হয়নি। কারণ তাঁকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে দাবি জানাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলও।আপাতত যা খবর, তাতে লিগ শুরুর আগেই শঙ্করলাল পেয়ে যাবেন তিন ফুটবলারকে। মঙ্গলবার ডিকাকে পাঠানো হচ্ছে টিকিট। দু’-একদিনের মধ্যে তিনি আসছেন। মইনুদ্দিন, অভিষেকের ছাড়পত্রও আসছে।
এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সৃঞ্জয়-দেবাশিস একযোগে বললেন, “সংগঠনের কাজ করতে পদের চেয়েও বেশি দরকার সদিচ্ছা আর তাগিদ। বারবার বলেছি, মোহনবাগানে ভাল কিছু করার জন্য যা করার করব। সেটাই করলাম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.