সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির মানুষটা যদি আজও ক্রিকেটের ময়দানে এসে দাঁড়ান, গোটা স্টেডিয়াম থেকে একটাই শব্দ ভেসে আসে শচীন, শচীন৷ এক দিনে নয় তিল তিল করে গড়ে উঠেছে ভালবাসার এই সাম্রাজ্য৷ তাই আজও ভারতবাসীর সামনে ক্রিকেট শব্দটা উচ্চারিত হলে সবার আগে আসে তাঁর নাম৷ শচীন রমেশ তেণ্ডুলকর৷ ১৯৭৩ সালে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার৷ জন্মদিনে ক্রিকেটের দেবতাকে আরও একবার চিনে নেওয়া যাক কিছু জানা-অজানা কাহিনির মাধ্যমে৷
- তৎকালীন বম্বের দাদরের নির্মল নার্সিংহোমে জন্ম হয়েছিল লিটল মাস্টারের৷ বাবা রমেশ তেণ্ডুলকর ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী শচীনদেব বর্মনের ভক্ত৷ সেই কারণেই নিজের ছোট্টশিশুর নাম রাখেন শচীন৷
- প্রথমে তিনি ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন৷ কিংবদন্তি খেলোয়াড় ডেনিস লিলির এমআরএফ পেস অ্যাকাডেমিতে আবেদনও জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়৷
- রঞ্জির ইতিহাসে শচীনই সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড়৷
- সকলেই মোটামুটি জানেন ১৯৮৯ সালে তাঁর ডেবিউ হয়েছিল৷ কিন্তু অনেকেই বোধহয় জানেন না, ১৯৮৮ সালে শচীন একবার সাবস্টিটিউট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন৷
[জানুয়ারি থেকে নতুন অর্থবর্ষ চান মোদি]
- শচীনই এমন একজন খেলোয়াড় যিনি হেরে যাওয়া দলের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পেয়েছেন৷
- মাত্র ২০ বছর বয়সেই পাঁচ-পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল তাঁর দখলে৷ যা আজও বিশ্ব রেকর্ড৷
- তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যার দখলে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ২০০০-এর বেশি রান করার রেকর্ড রয়েছে৷ মোট ৪৫ ম্যাচে ২,২৭৮ রান রয়েছে সচিনের৷
- শচীন ও কুম্বলের মধ্যে একটা অদ্ভূত কুসংস্কার ছিল৷ যখনই নাকি তিনি বোলার কুম্বলের সোয়েটার ও টুপি আম্পায়ারের হাতে দিতেন, তখনই কুম্বলে বেশি উইকেট নিতেন৷ এমনকী, কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার দিনও নাকি তাই হয়েছে৷
- ১৯৯০ সালে যখন তিনি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন৷ উপহার হিসেবে একটি শ্যাম্পেনের বোতল পেয়েছিলেন৷ কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টার সে সময় তা খুলতে পারেননি৷ কারণ তখনও তিনি নাবালক ছিলেন৷ সেই বোতল খোলা হয় ১৯৯৮ সালে৷ সচিনের প্রথম সন্তান সারার প্রথম জন্মদিনে৷
- অনেকেই ক্রিকেট ঈশ্বরের একটি গোপন কথা বোধহয় জানেন না৷ তিনি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন৷ এমনকী, ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা করারও অভ্যাস রয়েছে তাঁর৷
- আর সবশেষে একটি প্রশ্ন৷ জানেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভালবেসে কী বলে ডাকেন শচীন? ‘বাবু মশাই’৷ আর সৌরভ শচীনকে ডাকেন ‘ছোটাবাবু’ বলে৷
[চার হাত এক হবে, যদি পাত্র হয় বামপন্থী…]