সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫ থেকে ফ্রান্সে জঙ্গি হামলায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল নিস-হামলা। ক্রমাগত জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত ফ্রান্সে জাতিবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে। অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন বিশ্বকাপের জয় এসব ভুলিয়ে আবারও এক ছাতায় তলায় আনবে গোটা ফ্রান্সকে। প্যারিসে হাজারো সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখলে হয়তো সাময়িকভাবে মনে হবে সংহতির কাজটি করে দিয়েছেন পোগবা, কন্তেরা।
কিন্তু প্রদীপের নিচে অন্ধকার সেই রয়েই গেল। প্যারিস, মার্সেই, নিস দেশের সব প্রান্ত থেকেই খবর এল হিংসার। কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি অত্যুৎসাহী সমর্থকদের। কোথাও আবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। স্থানীয় সুত্রের খবর, এসব গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফল।
Victoire de l’équipe de France, ça chauffe à Bastille… #FRACRO pic.twitter.com/OGwLduGLaM
— Pierre Sautarel (@FrDesouche) July 15, 2018
🔴Violents affrontements en cours sur les Champs-Elysées.#ChampsElysées #alerte#CM2018 #Paris #FRACRO #WorldCup2018 #CM2018 pic.twitter.com/dEsTi0rM15
— Charles Baudry (@CharlesBaudry) July 15, 2018
BREAKING: Violence and riots have erupted in Paris following World Cup celebrations.
Armed forces have been deployed but several businesses have been looted and vehicles have been vandalized. 🇫🇷pic.twitter.com/5jp7xrpWXh— France Football 🇫🇷 (@FrenchFutbol) July 15, 2018
Los Campos Eliseos ahora mismo…#Paris
pic.twitter.com/Q3Famb5cJB— Naranjito 🍊 (@PedroOtamendi) July 15, 2018
#Bellecour bravo les champions pic.twitter.com/NmpkjsFPkN
— Luc La X (@Luc_La_X) July 15, 2018
কিন্তু এসবই কি শুধু জয়ের আনন্দে নাকি এর মধ্যে রয়েছে অন্য কোনও সমীকরন? আসলে গত ২ বছরের সন্ত্রাস তথাকথিত আদি ফ্রেঞ্চদের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্কের পরিবেশ। রীতিমতো ইসলাম বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। বিশ্বকাপজয়ী দলের সাতজন ফুটবলার মুসলিম। যার গোলে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত হয় সেই পল পোগবা নিজেও ইসলাম ধর্মাবলম্বী। শুধু এবারই নয়, ১৯৯৮’এ ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের নায়কও জিদানও ছিলেন মুসলিম। প্যারিসে ফ্রান্সের জাতীয় সৌধ আর্ক দে ট্রাওম্ফে তাই দুই মুসলিম মহাতারকার ছবি ভেসে ওঠে বিশ্বজয়ের মুহূর্তে। তখন ইসলাম বিদ্বেষীদের অনেকেই হয়তো তা সহ্য হয়নি। সেলিব্রেশনের পরে হিংসার ঘটনা হয়তো তারই ফলশ্রুতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.