Advertisement
Advertisement

কেন নির্বাসনে শ্রীসন্থ? উত্তর চেয়ে বিসিসিআইকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বোর্ডের ব্যাখ্যা তলব।

SC slaps notice on BCCI after Sreesanth challenges life ban
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 5, 2018 3:47 pm
  • Updated:February 5, 2018 3:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শেষবার ২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় নাম জড়ানোর পরই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থকে নির্বাসিত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই। সেই মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দিল বিসিসিআই-কে। শ্রীসন্থের উপর থেকে আজীবন নির্বাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বোর্ডকে নোটিস ধরালো শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারক এ এমন খানওয়িলকর এবং বিচারক ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। বিসিসিআই-কে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বোর্ডের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীসন্থকেও চার সপ্তাহের মধ্যে সংশোধনী আবেদন জমা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, বিসিসিআইয়ের তরফে আইনজীবী পরাগ ত্রিপাঠী আদালতের নোটিস গ্রহণ করেছেন।

বোর্ডের আজীবন নির্বাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত বছর মার্চে কেরল হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন শ্রীসন্থ। গত আগস্টে আদালতের রায় যায় ভারতীয় পেসারের পক্ষেই। তাঁর উপর থেকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি তুলে নেওয়ার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিল কেরল হাই কোর্ট। কিন্তু বোর্ড নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। এদিনও শ্রীসন্থের আইনজীবী জানান, আদালত ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেসারের পক্ষে রায় দেওয়ার পরও বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। গত নভেম্বরেই সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শ্রীসন্থ।

Advertisement

[জানেন, ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থদের কীভাবে উৎসাহ দেন ধোনি?]

এর আগে ২০১৩ সালে শ্রীসন্থ ও রাজস্থান রয়্যালসের অপর দুই ক্রিকেটার অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চৌহানকে স্পট-ফিক্সিংয়ের জন্য আজীবন নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। কিন্তু দিল্লির ফৌজদারি আদালত ২০১৫ সালে শ্রীসন্থকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেও বোর্ড তাঁর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেনি। এরপরই গত মার্চে কেরল হাই কোর্টে মামলা করেন শ্রীসন্থ। দাবি করেন, দিল্লি আদালত তাঁর উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিলেও বোর্ড  নির্বাসন তুলে নিচ্ছে না। এতে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে বোর্ড।

২০১৩ সালের মে মাসে দিল্লি পুলিশ আইপিএল-এ ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শ্রীসন্থকে গ্রেপ্তার করেছিল। এরপরই জুন মাসে বোর্ডের বিশেষ তদন্তকারী দল শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দেয়। শ্রীসন্থের বক্তব্যও শোনা হয়নি। এমনকী চিঠি দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেও সেটা গ্রাহ্য করেনি বোর্ড। প্রথমে শো-কজের নোটিস দেওয়া হয় তাঁকে। তারপরেই আজীবনের জন্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। ২০১৫ সালে দিল্লির ওই আদালত শ্রীসন্থকে সব ধরনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেও বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, তাঁরা এই ক্রিকেটারের উপর থেকে কোনওমতেই নির্বাসন তুলবে না। পরে কেরল হাই কোর্টে শ্রীসন্থের মামলার শুনানিতেও বোর্ডের তরফ থেকে পিটিশন জমা দিয়ে একই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার দেখার সুপ্রিম নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়।

[আগে লাঞ্চ পরে খেলা, আজব সিদ্ধান্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোরাক আম্পায়াররা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement