Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহতক থেকে রিওর সফরে বৃত্ত পূরণ সাক্ষীর

রোহতাক থেকে রিওর এই দীর্ঘ সফরটা যদিও খুব একটা সহজ ছিল না সাক্ষীর।

Sakshi Malik: the journey from Rohtak to the podium in Rio
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 18, 2016 12:38 pm
  • Updated:August 18, 2016 5:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ সেকেন্ডে সবকিছু বদলে গেল। শেষ ১০ সেকেন্ডের লড়াইয়েই নিশ্চিত হল পদকটা। আর সেই ১০ সেকেন্ডেই স্বপ্নপূরণ হল দেশবাসীর। ১০ সেকেন্ডেই ‘অখ্যাত’ রোহতকের কুস্তির আখড়া জায়গা করে নিল রিওর পোডিয়ামে। মহিলা কুস্তিগির থেকে ওলিম্পিক পদকজয়ী তারকা কুস্তিগিরে পরিণত হলেন সাক্ষী মালিক।

রোহতক থেকে রিওর এই দীর্ঘ সফরটা যদিও খুব একটা সহজ ছিল না সাক্ষীর। ২০০২ সালে কোচ ঈশ্বর দাহিয়ার তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছিল কুস্তির সফর। তখন সাক্ষীর বয়স ৯ বছর। ছোট্ট সাক্ষীকে শুধু আখড়ায় বাকি কুস্তিগিরদের সঙ্গেই নয়, সমাজের সঙ্গেও লড়তে হয়েছিল। “কুস্তি? সে তো ছেলেদের খেলা! গ্রামের মেয়ে আবার কুস্তি লড়বে কী?” এ ধরনের মন্তব্যই সাক্ষীর এগিয়ে চলার পথে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করেননি। মেয়ের পাশে ছিলেন বাবা-মাও। তাই কোনও বাধাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। রিল লাইফে ‘সুলতান’-এর আরফা যেভাবে সমাজের সঙ্গে লড়াই করে কুস্তি চালিয়ে গিয়েছিলেন, বাস্তবের মাটিতে হরিয়ানার সাক্ষীর জীবনটাও অনেকটা একইরকম।

Advertisement

sakshi2_web

Advertisement

২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে রুপো জিতে প্রথমবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। গতবছর দোহায় আয়োজিত এশিয়ান কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে ঝুলিতে ভরেন ব্রোঞ্জ পদক। জাতীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় রিও যাওয়ার আগে সাক্ষীর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর ইস্তানবুলে ওলিম্পিক কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছনোয় রিওর টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায় সাক্ষী ও আরেক মহিলা কুস্তিগির ভিনেশ ফোগাটের। বাকি ১১৮ জন ভারতীয় প্রতিযোগীর মতো সাক্ষীও পদক জয়ের স্বপ্ন সাজিয়ে রিও পৌঁছেছিলেন। বুধবার সেই স্বপ্নপূরণ হল।

sakshi3_web

কুস্তিগির হরদীপ সিং, রবিন্দর ক্ষেত্রী ছিটকে গেলেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সাক্ষী। কিরগিজস্তানের আইসুলু টাইবেকোভাকে হারিয়ে অবশেষে তৈরি হয়েছে নয়া ইতিহাস। সাক্ষী বলছিলেন, “আমার ১২ বছরের তপস্যা সার্থক হয়েছে। কখনও ভাবিনি ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসেবে ওলিম্পিক পদক জিতব। লড়াইয়ের আগে হার মানতে চাইনি। জানতাম ছ’মিনিট টিকে থাকতে পারলেই জিতব। শেষ রাউন্ডে নিজের সেরাটাকেও ছাপিয়ে গিয়েছিলাম।” শেষ রাউন্ডের সেই ১০ সেকেন্ডে তৈরি ইতিহাস মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখবে দেশবাসী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ