সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাঁর হাত ধরে ব্যাট ধরা শিখেছিলেন তাঁকেই শেষ বিদায় দিতে হল চোখের জলে। মুম্বইয়ের রাজপথ সাক্ষী থাকল মাস্টার ব্লাস্টারের কান্নার। প্রথম গুরুকে বিদায় দেওয়াটা যে কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে, তা এদিন শচীন তেণ্ডুলকরকে দেখলেই বোঝা যাবে। গুরুর নিথর দেহ নিজেই কাঁধে করে বইলেন মাস্টার ব্লাস্টার। যেন আচরেকরের জ্যেষ্ঠপুত্র তিনিই। শুধু দেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, শ্মশানে যাবতীয় রীতিনীতিও পালন থাকলেন শচীন। চোখের জলে বিদায় দিলেন ক্রিকেটজীবনের প্রথম শিক্ষাগুরুকে। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে সম্পন্ন হল রমাকান্ত আচরেকরের শেষকৃত্য।
শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল রমাকান্ত আচরেকরের নাম। নিজের প্রথম কোচের নানা কাহিনি বহুবার ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেরা শিষ্যকে একা করে পরলোকে পাড়ি দিলেন রমাকান্ত। ক্রিকেটার হিসেবে সেভাবে খ্যাতি না পেলেও কোচ হিসেবে তাঁর নাম ভারতীয় ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মুম্বইয়ের দাদরের শিবাজি পার্কে বহু নক্ষত্র খুঁজে বের করেছেন তাঁর প্রবল দূরদর্শিতা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে। তাঁর শিষ্যদের অনেকেই এদিন হাজির ছিলেন তাঁর শেষযাত্রায়।
তেণ্ডুলকর ছাড়াও আচরেকরের শেষযাত্রায় হাজির ছিলেন বিনোদ কাম্বলি, বলবিন্দর সিং সান্ধু, চন্দ্রকান্ত পুরোহিত। হাজির ছিলেন আচরেকরের শিষ্য অতুল পাণ্ডে, অমল মজুমদার, রমেশ পওয়ার, পারশ মাম্বরে, বিনায়ক সামন্ত, নীলেশ কুলকার্ণি, বিনোদ রাঘবণ। হাজির ছিলেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এদিন শিবাজি পার্কে আচরেকরকে গার্ড অব অনার দেয় স্থানীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের খুদে ছাত্ররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.