সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবিত অবস্থায় চূড়ান্ত আর্থিক অনটনে ভুগেছেন। কিংবদন্তি হয়েও সেভাবে সম্মান পাননি। এবার মৃত্যুর পরও শান্তি পেলেন না পুঙ্গম কান্নন। তাঁর সৎকার নিয়ে তৈরি হল চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। দুই স্ত্রীয়ের বিবাদের জেরে এখনও মর্গেই পড়ে রইল ‘এশিয়ান পেলে’র মৃতদেহ। যে ঘটনা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের কলঙ্ক।
রবিবার ভবানীপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তারপর প্রায় দু’দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সৎকার হয়নি প্রাক্তন ফুটবলারের। কারণ সৎকার নিয়ে প্রথম এবং তৃতীয় স্ত্রীর মধ্যে মঙ্গলবার প্রায় দিনভর চলল টানাপোড়েন। তাঁর দেহ প্রথমে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা ছিল। মঙ্গলবার সেখান থেকে মরদেহ মোহনবাগানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দুই স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন এমনই চরম আকার ধারণ করে যে, গঙ্গাপারের ক্লাবে যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এদিন দীর্ঘক্ষণ কান্ননের মরদেহ আসার ক্লাবে অপেক্ষায় ছিলেন কর্তারা। কিন্তু শেষমেশ আর পৌঁছায়নি দেহ। এমনকী, ঘটনা গড়ায় থানা পর্যন্ত।
কান্ননের এক স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী থাকেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁর দাবি, কান্ননের দেহ সৎকারের জন্য বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে চান তিনি। যার জন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সটান মোহনবাগানে ক্লাবেই হাজির হন বিজয়লক্ষ্মী দেবী। অন্যদিকে আরেক স্ত্রী অ্যান্টোনিট চান, প্রয়াত স্বামীর দেহ কলকাতাতেই সৎকার করতে। কাউন্সিলর সঞ্জয় দাসের সঙ্গেও কথা বলেন। সঙ্গে অবশ্য এও জানান, সসম্মানে মরদেহ বেঙ্গালুরু নিয়ে গেলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ানোয় দমদম থানা সাফ জানিয়ে দেয়, বিজয়লক্ষ্মীদেবী উপযুক্ত কাগজপত্র দিতে পারলে তাঁর হাতেই কান্ননের মরদেহ তুলে দেওয়া হবে। এদিকে সঞ্জয় দাস বলেন, কলকাতায় সৎকার করতে চাইলে তাঁরা সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার হলে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। কারণ বিজয়লক্ষ্মী জানান, মঙ্গলবার তিনি মরদেহ নিয়ে যেতে পারবেন না। বিজয়ওয়াড়া থেকে তাঁর মেয়ে-জামাই এলে বুধবার দেহ নেবেন। ফলে এখনও সৎকার আটকে কিংবদন্তি কান্ননের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.