সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা অরধাই রয়ে গেল৷ বিশ্বের সেরা ব্যাডমিন্টন তারকার বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করে হার মানলেন পুশরলা বেঙ্কট সিন্ধু৷ তবে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে ওলিম্পিকে রুপো জিতে ইতিহাস গড়লেন হায়দরাবাদি তারকা৷
দুর্দান্ত শুরু করেও সিন্ধুর আগ্রাসনের সামনে ধোপে টিকল না মারিনের আক্রমণ৷ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ২১-১৯-এ প্রথম গেম জিতে নেন ভারতীয় শাটলার৷ দ্বিতীয় গেমে ক্যারোলিনা মনে করিয়ে দিলেন, তিনি কেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা৷ সিন্ধুকে খেলার জায়গাই দিলেন না৷ ২১-১২ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম পকেটে পুরলেন স্প্যানিশ শাটলার৷ তৃতীয় গেমে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেও হারলেন সিন্ধু৷ মারিনের পক্ষে ম্যাচের ফল ২১-১৫৷ সিন্ধুর বিরুদ্ধে যে এতটা লড়াই দিতে হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি৷
মূলত দু’টি কারণে পদক জয়ের দাবিদার হিসেবে সিন্ধুর নাম ছিল অনেক পিছনে৷ এক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী৷ এবং দ্বিতীয়ত, এটাই সিন্ধুর প্রথম ওলিম্পিক৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ওয়াং ইয়াহান, তাই জু-ইংয়ের মতো প্রথম সারির তারকা শাটলারদের বিরুদ্ধে লড়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারবেন না হায়দরাবাদি খেলোয়াড়৷ কিন্তু সেসব ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ফাইনালে পৌঁছন তিনি৷ বিশ্বের দু’নম্বরকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছেছিলেন৷ তারপর স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের ছ’নম্বরকে৷ এবার লড়াই হল বিশ্বের এক নম্বর ক্যারোলিনার বিরুদ্ধে৷ ফল যাই হোক দুই তারকা যা বর্ণময় রূদ্ধশ্বাস খেলা উপহার দিলেন, তাতেই মন ভরে গেল ব্যাডমিন্টন প্রেমীদের৷
ভারোত্তলক কর্ণম মালেশ্বরী, বক্সার মেরি কম এবং শাটলার সাইনার নেহওয়াল ও কুস্তিগির সাক্ষী মালিকের পর পঞ্চম মহিলা হিসেবে ওলিম্পিকে পদক জয়ের নজির গড়লেন সিন্ধু।
দ্রোণাচার্য পুল্লেলা গোপীচাঁদের প্রাক্তন ছাত্রী সাইনা ও বর্তমান ছাত্র কিদাম্বি শ্রীকান্ত পারেননি৷ তাই কোচেরও যাবতীয় আশা-ভরসা ছিল সিন্ধুকে ঘিরেই৷ এদিন তাঁর কিছুই হারানোর ছিল না৷ দুই তারকা যা বর্ণময় রূদ্ধশ্বাস খেলা উপহার দিলেন, তাতেই মন ভরে গেল ব্যাডমিন্টন প্রেমীদের৷ কারণ তবে সোনা হোক রুপো, ভারতবাসীর কাছে সিন্ধু চ্যাম্পিয়নই হয়েই গিয়েছিলেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.