কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৭২/৬ (রবিন উত্থাপ্পা ৬৮, ভুবনেশ্বর কুমার ২০/৩)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ১৫৫/৬ (যুবরাজ সিং ২৬, ক্রিস ওকস ৪৯/২)
নাইট রাইডার্স ১৭ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ। আগের ম্যাচেই একপেশেভাবে প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়েছে দল। সেই ম্যাচের রেশ ধরে রেখেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শনিবার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ধরাশায়ী করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগের ম্যাচের মতোই প্রায় একপেশে জয় এল নাইটদের। ব্যাটিংয়ে রবিন উত্থাপ্পা এবং বোলিংয়ে ক্রিস ওকসের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে সানরাইজার্স বধ করলেন গম্ভীর অ্যান্ড কোম্পানি। শেষপর্যন্ত ১৭ রানে ম্যাচ জিতল নাইট শিবির। সবমিলিয়ে চার ম্যাচে তিনটি জয়, একটি হার নাইটদের ঝুলিতে। একইসঙ্গে এই জয়ের দৌলতে ফের আইপিএল-এর শীর্ষে চলে গেলেন গম্ভীররা।
এদিন টসে জিতে নাইটদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন ওয়ার্নার। এর একটা প্রধান কারণ কলকাতার গরম। চড়া রোদের বদলে রাতের দিকে ব্যাট করতে আগ্রহী ছিলেন ওয়ার্নার। এদিনও আগের ম্যাচের মতো সুনীল নারিনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন গম্ভীর। কিন্তু রোজই ফাটকা ক্লিক করে যাবে এমন কোনও মানে নেই। এদিন কিন্তু ব্যর্থ নারিন। মাত্র ৬ রানে করেই হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নারিন। গৌতম গম্ভীরও মাত্র ১৫ রান করে আফগান স্পিনার রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে যান।
সেখান থেকে নাইটদের ইনিংসের হাল ধরেন রবিন উত্থাপ্পা এবং মনীশ পাণ্ডে। ধামাকেদার ইনিংস খেলে রবিন আউট হন ৬৮ রানে। মাত্র ৩৯ বলে এই ঝোড়ো ইনিংস খেলেন উত্থাপ্পা। এরপর মনীশ পাণ্ডেও ৪৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন। শেষদিকে ইউসুফ পাঠান ২১ রান করে নট আউট থাকেন। নাইটদের ইনিংস শেষ হয় ১৭২ রানে।
অন্যদিকে, হায়দারবাদের কেউই ভাল ব্যাটিং করতে পারেননি। না ওয়ার্নার, না যুবরাজ কেউই আশাতীত ব্যাটিং করে দলকে জেতাতে পারলেন না। নাইটদের ১৭২ রানের বিশাল ইনিংস তাড়া করতে এই দু’জনই প্রধান ভরসা ছিলেন সানরাইজার্স শিবিরের। দু’জনেই ২৬ রান করেন। আরেক হায়দরাবাদের আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান ২৩ রান করে।
মারকুটে অলরাউন্ডার মোয়েস হেনরিকসও মাত্র ১৩ রান করে ক্রিস ওকসের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে প্যাভিলয়েনর রাস্তা ধরেন। তখন যুবিই ছিলেন বড় ভরসা। কিন্তু তিনিও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শেষদিকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেউই ম্যাচ বের করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত হেরেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যুবিদের।
ছবি সৌজন্যে- BCCI
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.