সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনার দু’দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন এখনও শিরোনামে। কারণ তাঁর মানকড় বিতর্ক নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। ক্রিকেট দুনিয়ার একাংশ যখন অশ্বিনের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনায় সরব, তখন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ একেবারে অন্যভাবে কাজে লাগাল মানকড় কাণ্ডকে।
খেলার মাঠের বিরল কিছু ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে আমজনতাকে সতর্ক করে থাকে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তা সে চেতেশ্বর পূজারাই হোন কিংবা লিও মেসি। কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বারবার এমন অনেক মজার মজার পোস্ট দেখা গিয়েছে। খেলার মাঠের পাশাপাশি আমির খানের ‘ঠাগস অফ হিন্দুস্থান’ নিয়ে মজার পোস্টারও দেখা গিয়েছে। মজার ছলে পথচারী, বাইক আরোহী ও গাড়ির চালকদের সচেতন করাই এই সমস্ত পোস্টারের উদ্দেশ্য। আর এবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হাতিয়ার মানকড়।
মানকড় কী, তা গত দু’দিনের আলোচনায় প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মানকড়িং করে বিতর্কে জড়ান পাঞ্জাব অধিনায়ক অশ্বিন। রাজস্থানের ইনিংস চলাকালীন অশ্বিনের ওভারের সময় নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ছিলেন জস বাটলার। ডেলিভারির আগেই ক্রিজ থেকে খানিকটা বেরিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডেলিভারি না করেই উইকেটে বল ঠেকিয়ে বাটলারকে রানআউট করে দেন অশ্বিন। ক্রিকেটের রুলবুকে যা মানকড় নামেই পরিচিত। ভারতীয় ক্রিকেটার বিনোদ মানকড় প্রথমবার এই ঘটনা ঘটানোয় তাঁর নামেই এর নামকরণ হয়েছিল। সোমবারের এই ঘটনার পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অশ্বিন যা করেছেন, তা ক্রিকেটীয় স্পিরিটকে আঘাত করেছে। তাঁর উচিত ছিল ব্যাটসম্যানকে অন্তত একবার সতর্ক করা। কিন্তু তেমনটা তিনি করেননি। তবে নিজের আচরণের জন্য একেবারেই অনুতপ্ত নন ভারতীয় স্পিনার। তাঁর মতে, তিনি ক্রিকেটের নিয়মভঙ্গ করেননি। আর তাই তিনি দুঃখিত নন।
মাঠের বিতর্কের জল যে দিকেই গড়াক না কেন, কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ মানকড়কেই এবার প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। সোশ্যাল সাইটে তাদের পোস্টে একদিকে দেখা যাচ্ছে অশ্বিন ও বাটলারের সেই বিতর্কিত দৃশ্য। আর অন্যদিকে রাস্তার সিগন্যালে ট্রাফিক লাইন পেরিয়ে দাঁড়ানো একটি গাড়ি। উপরে লেখা, ‘ক্রিজে হোক বা রাস্তায়, আগে পেরোলে পস্তায়’। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের আশা, এমন উদাহরণ দিয়ে মানুষকে সচেতন করলে বেশি সাড়া মিলবে। মাঠে বিতর্কে জড়ালেও কলকাতা পুলিশ অশ্বিনকে ইতিবাচক কাজেই লাগাল।
— Kolkata Police (@KolkataPolice) March 26, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.