পুণে এফসি- ২ (ফেরেইরা, রগরিগেজ- পেনাল্টি)
এটিকে-১ (হিউম- পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “চিতে কি চাল, বাজ কি নজর অউর বাজিরাওকে তলোয়ার পে কভি সন্দেহ নহি করতে৷ কভি ভি মাত দে সকতে হ্যায়৷” নিজের পুরনো ক্লাবকে মাটি ধরানোর পর এই ধরনেরই কিছু সংলাপ হয়তো মনে মনে আওড়ালেন স্প্যানিশ কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস৷
আইএসএল-এর প্রথম দুই মরশুমে নিজে হাতে এটিকে-র দল তৈরি করেছিলেন হাবাস৷ উদ্বোধনী মরশুমেই কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন হাবাস৷ গত মরশুমে দলকে শেষ চার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও হাবাসের পরিবর্তে কলকাতার নতুন কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মোলিনাকে৷ তৃতীয় সংস্করণে সফল স্প্যানিশ কোচ দায়িত্ব নেন পুণে এফসি-র৷ এমন পরিস্থিতিতে পুণে বনাম এটিকে-র ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে৷ একেতেই ঘরের মাঠ৷ তার উপর নিজের চেনা প্রতিপক্ষ৷ সবমিলিয়ে মোলিনার বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য টগবগ করে ফুটছিলেন হাবাস৷ তিনটি ম্যাচে হেরে লিগ তালিকার অনেকটাই নিচের দিকে ছিল হৃতিক রোশনের দল৷ সেই জায়গা থেকে জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন হাবাসের ছেলেরা৷ সেই মতো প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে দিয়েছিলেন সিসোকোরা৷ কর্নার থেকে দুরন্ত গোল করে প্রথমার্ধেই পুণেকে এগিয়ে দিলেন এডুয়ার্ডো ফেরেইরা৷ পোস্তিগা, হিউমের মতো তারকাখচিত কলকাতা আক্রমণের সুযোগই পেলেন না৷
দ্বিতীয়ার্ধে আবার বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে বসলেন এটিকে ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল৷ রডরিগেজের পেনাল্টি কিক আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন দেবজিৎ৷ ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় কলকাতা৷ কিন্তু পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো পেনাল্টি উপহার না পেলে এদিন গোলের মুখ দেখাই হত না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের৷ পুণের অধিনায়ক সিসোকো বক্সের ভিতর ফাউল করেন মার্কি পোস্তিগাকে৷ পেনাল্টি থেকে হিউমের গোলই হাবাসের সামনে খানিকটা ক্ষতে মলম দিল এটিকে-র৷
এই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত হয়ে যেত পোস্তিগাদের৷ তেমনটা তো হলই না৷ উল্টে হাবাসের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধেও হেরে গেলেন মোলিনা৷ ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ তালিকার তিন নম্বরে কলকাতা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.