সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার সরাসরি প্রভাব পড়ল আজ থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হওয়া শুটিং বিশ্বকাপে। একদিন আগেই পাকিস্তানি শুটিং দলের ভিসা মঞ্জুর হওয়া সত্ত্বেও প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নিল পাকিস্তান। কেন ভারতে আসার ভিসা পাওয়া সত্ত্বেও সরে গেল পাকিস্তান, সেই বিষয়ে সেদেশের শুটিং সংস্থার বক্তব্য, ভিসা আসতে দেরি করার জন্যই নাকি তারা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। সোমবার সকালেই তারা জানিয়েছিল, সন্ধ্যার মধ্যের ভিসা না এলে তারা টুর্নামেন্টে আসবে না। বিকেলেই ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, ভিসা মঞ্জুর করা হয়েছে।
তারপরও কেন মঙ্গলবার সকালে অন্য কথা পাকিস্তানের, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাক শিবিরের অন্দরের খবর, সেদেশের রাইফেল সংস্থা প্রথমে মনে করেছিল ভারত ভিসা দিতে রাজি হবে না। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যাওয়ায় তারাই সমস্যায় পড়ে যায়। পুলওয়ামার ঘটনায় এই মুহূর্তে ভারতে যা অবস্থা তাতে প্রবল রোষের মুখে পড়তে হতে পারে পাকিস্তানি প্রতিযোগীদের। মাত্র তিন সদস্যের দল নিয়ে এখানে আসার কথা ছিল পাকিস্তানের। দুই শুটার মহম্মদ খালিল আখতার এবং গুলাম মুস্তাফা বশির, সঙ্গে কোচ রাজি আহমেদ। এঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসে পাকিস্তান। কিন্তু, যুক্তি হিসাবে দেরিতে ভিসা আসার কথা বলা হয়।
এ ব্যাপারে জাতীয় রাইফেল সংস্থার সচিব রাজীব ভাটিয়া বললেন, “ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, ভিসা মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। ওদের জাতীয় সংস্থার তরফেও ই-মেলে আমাদের জানায় ভিসা সমস্যা মিটেছে।” পাকিস্তান ফেডারেশনের তরফে সচিব রাজি আহমেদ পালটা বলেন, “প্রথমে আমাদের জানানো হয়, ভিসা মঞ্জুর হয়েছে। পরে আবার ফোন করে বলা হয়, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ভিসা আসতে একটু দেরি হবে। আমাদের নয়াদিল্লি যাওয়ার ফ্লাইট ২০ তারিখ সকালে। তার আগে ভিসা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে তাই যাওয়ার মানে হয় না।” রাজি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভারতে পাকিস্তানিদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। মোহালিতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছবি সরিয়ে ফেলা, কিংবা ভারতে পাকিস্তান সুপার লিগ ক্রিকেটের সম্প্রচার বন্ধ হওয়া এগুলোর জেরে তাঁরাও চিন্তিত। সরাসরি অবশ্য বলেননি, না আসার এটাই কারণ!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.