সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা জেতার পরই ডোপটেস্টের জন্য দৌড়তে হয়েছিল। তাতেই দু’ঘণ্টা পার। তার পর মিডিয়ার সামনে যখন এলেন, তখন প্রায় মাঝরাত। স্বপ্না বর্মন তারই মধ্যে বললেন, “জাতীয় ক্রীড়াদিবসে সোনা পেলাম, সুতরাং এটা স্পেশাল।”
আর ঠিক তার পরপর সটান জুতোর প্রসঙ্গে চলে গেলেন। দু’পায়ে ছ’টা করে আঙুল থাকায় সাধারণ জুতো পরতে কষ্ট হয়। সেই নিয়েই বললেন, “…আমি সাধারণ জুতো পরেই প্র্যাকটিস করেছি। ট্রেনিংয়ের সময় খুব ব্যথা হয়।” এবার তো সোনা এল। তা হলে ঠিকঠাক জুতো বানিয়ে দেওয়ার স্পনসর মেলা উচিত। শুনেই স্বপ্না বললেন, “উফ, তা হলে বাঁচি। হ্যাঁ, সত্যিই একটা ঠিকঠাক জুতো দরকার।” সোনা জয়ের দিনে তাঁর ডান গালের লাল প্লাস্টারটা বেশি করে চোখে পড়ছিল। দাঁতে ব্যথার জন্য ওই প্লাস্টার। বললেন, “চকোলেট খেতে খুব ভালবাসি। তার থেকেই এই দাঁতের সমস্যা। টুর্নামেন্ট শুরুর দু’দিন আগে থেকেই এই ব্যথার শুরু। প্রথম দিন তো মনে হচ্ছিল নামতেই পারব না। অসহ্য ব্যথা। তার পর ভাবলাম, এতদিন যে এই টুর্নামেন্টের জন্য এত তৈরি হলাম, তা হলে সেটার কী হবে? নিজেকে বোঝালাম, পারতেই হবে। তার পর জোর করেই ব্যথাটা ভুলে গেলাম। নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
[দাঁতের যন্ত্রণা চেপেই সোনার দৌড় স্বপ্নার, আনন্দে আত্মহারা জলপাইগুড়ি]
এখানে আসার আগে জলপাইগুড়ির বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছিলেন, “সোনা না জিতে ফিরব না।” সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারার স্বস্তি এখন স্বপ্নার চোখেমুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.