পিয়ারলেস: ২ (এডমন্ড, জিতেন মুর্মু)
ভবানীপুর: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৫৮ সালের পর কি আবার সেই অঘটন ঘটতে চলেছে। ৬২ বছর পর কি কলকাতা লিগ তিন প্রধানের বাইরে যেতে চলছে? পিয়ারলেস কিন্তু, এই অঘটন ঘটানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। বৃহস্পতিবার ভবানীপুরকে হারিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল জহর দাসের দল। ফুটবল মহলের নজর যখন যুবভারতীতে মিনি ডার্বির দিকে, তখন অনেকটা নিঃশব্দেই লিগ জয়ের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল পিয়ারলেস। শংকরলাল চক্রবর্তীর ভবানীপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল ক্রোমাদের দল।জয়ের ফলে শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল পিয়ারলেস। সেই সঙ্গে লিগ জয়ের দৌঁড়ে আরও এগিয়ে গেলেন ক্রোমারা।
মিনি ডার্বির পাশাপাশি এদিন এই ম্যাচের দিকেও নজর ছিল ফুটবল মহলের। কারণ, দীর্ঘদিন বাদে লিগের শেষপ্রান্তে এসেও পয়েন্ট তালিকার উপরে ছিল তথাকথিত ছোট দুটি দল। একে পিয়ারলেস-দুইয়ে ভবানীপুর। যে জিতবে সেই লিগজয়ের কাছাকাছি চলে যাবে, এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে এদিনও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেন পিয়ারলেস ফুটবলাররা। জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষস্থান ধরে রাখল পিয়ারলেস।
ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই অবশ্য ভবানীপুরকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছিলেন না পিয়ারলেস কোচ জহর দাস। নিজের দলের ফুটবলারদের উপর আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁর। কেন তিনি এত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তা এদিন বোঝা গেল তাঁর দলের খেলা দেখেই। সংঘবদ্ধ ছন্দময় ফুটবল খেলে এদিন সহজেই ভবানীপুরকে হারিয়ে দিল পিয়ারলেস। ম্যচের বয়স যখন সবে মিনিট পনেরো, তখন বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি-কিককে কাজে লাগান পিয়ারলেসের এডমন্ড। ফ্রি-কিক থেকে নিখুঁত শটে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। ম্যাচের বয়স যখন ঘণ্টাখানেক তখন পিয়ারলেসের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন জিতেন মুর্মু। এরপর আর ম্যাচে কোনও গোল হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.