সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। শোনা যাচ্ছিল ঘোষণা করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে তাই হল। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেল উইম্বলডন (Wimbledon)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যা কখনও হয়নি। ফরাসি ওপেন (French Open) আগেই পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি রইল শুধু ইউএস ওপেন (US Open)। করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু মিছিল এখন বিশ্বজুড়ে অব্যাহত। প্রতিটি দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের জীবন যাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্রীড়াজগৎ প্রায় তালাবন্ধ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাওয়া মানে মানুষকে বিপদে ফেলা। তাই উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল, আপাতত টেনিসের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট বন্ধ থাক। যা হওয়ার কথা ছিল ২৯ জুন থেকে ১২ জুলাই।
বন্ধ করার কারণ তুলে ধরতে গিয়ে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের চেয়ারম্যান ইয়ান হিউইট বলেন, “আমাদের কাছে আগে প্রাধান্য পেয়েছে মানুষের স্বাস্থ্য। যাকে কখনও অগ্রাহ্য করা যায়না। তাই এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রচণ্ড গুরুত্ব দিয়েছি। বিশ্বযুদ্ধের পর উইম্বলডন কখনও বন্ধ হয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সকলে উইম্বলডন বন্ধ হওয়াকে মন থেকে মেনে নেবেন। আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে পিছপা হবেন না।” আগে ঠিক ছিল এপ্রিলের শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতে আর দেরি করলেন না উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। আসলে উইম্বলডন হওয়া মানেই প্রচুর জনসমাগম ঘটে। যা এখন কোনও মতে মেনে নেবে না সরকার। বরং সরকারের কড়া নির্দেশ, লোক জমায়েত করা চলবে না। জুন মাসে তার ব্যতিক্রম ঘটার সম্ভাবনা খুব কম। সেইজন্য তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত।
প্রতিবারে মে-তে হয় ফরাসি ওপেন। এবার পিছিয়ে তা হচ্ছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর। টোকিও অলিম্পিক, ইউরো কাপ আগেই পিছিয়ে গিয়েছে। বড় ইভেন্টের মধ্যে বাকি ছিল শুধু উইম্বলডন। ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় টেনিস টুর্নামেন্টে নেমে এল বিশাল খরা। এখন যা বড় টুর্নামেন্ট হিসাবে রইল টরোন্টো ও মন্ট্রিল। তবে এই দু’টো টুর্নামেন্ট হওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে। ইউএস ওপেন হবে কিনা তা নিয়েও কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। প্রশ্ন হল, উইম্বলডন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রজার ফেডেরার, সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামসদের কী আর কখনও খেলতে দেখা যাবে না? প্রশ্ন উঠছে এই কারণেই, তিনজনের বয়স ৪০-এর কোটায়। তাঁদের পক্ষে এই গ্র্যান্ড স্লামে নামা সত্যিই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সবচেয়ে হতাশ হবেন বোধহয় সেরেনা। আর একটা জিতলে তিনি মার্গারেট কোর্টের ২৩টা গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড ছুঁতে পারবেন। গতবার ফাইনালে তিনি হালেপের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার তাঁর লক্ষ্য ছিল উইম্বলডন জিতে মার্গারেটকে ছোঁয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.