ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছিল জাতীয় টেবিল টেনিস তারকা সৌম্যজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ তুললেন খোদ তাঁর স্ত্রী। হাই কোর্টের বিচারকের সামনে ওই তরুণীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিনও পেয়েছিল সৌম্যজিৎ। আদালতের নির্দেশে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই স্বামী সৌম্যজিৎকে ফের কাঠগড়ায় তুললেন স্ত্রী। জাতীয় টেবিল টেনিস তারকার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি। বুধবার রাতে বারাসত মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।
২০১৭ সালের মার্চে বারাসতের বাসিন্দা ওই তরুণীর অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল ক্রীড়ামহলে। তারকা খেলোয়াড় সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় জাতীয় দল থেকে তাঁকে বাদও দেওয়া হয়। তরুণীর অভিযোগ ছিল, স্কুলে পড়াকালীন সৌম্যজিতের সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর। এরপর সৌম্যজিৎ একাধিকবার তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। নাবালিকা অবস্থাতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই তরুণী।
তাঁর অভিযোগ, সে কথা জানার পর জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয় এবং বিয়ে করতে অস্বীকার করেন সৌম্যজিৎ। সে সময়ও বারাসত মহিলা থানায় সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন সৌম্যজিৎ। সেখানে ওই তরুণীর বিয়ে করার শর্তে তাঁকে জামিন দেয় আদালত। ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট ওই তরুণীর সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে হয় সৌম্যজিতের। কিন্তু পাঁচ মাস কাটতে না কাটতেই ফের শুরু অশান্তি। এবার ওই তরুণীর অভিযোগ, আগের মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য সৌম্যজিৎ ও তার পরিবারের লোকেরা তাঁকে মারধর করেন। সম্প্রতি আগের মামলাটির নিষ্পত্তি হয়েছে। আর তারপর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। ওই তরুণীর এমনও অভিযোগ, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌম্যজিৎ তাঁর উপর বিকৃত যৌনাচার করতেন।
বুধবার রাতে বারাসত মহিলা থানায় এসে ওই তরুণী জানান, কয়েকদিন টানা মারধরের পর ১৪ জানুয়ারি সৌম্যজিৎ তাঁকে বাঘাযতীনের বাড়িতে ফেলে চলে যান। তরুণীর বাপের বাড়ির লোকরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.