Advertisement
Advertisement
আলি ও লাভলি

ভাইরাল ভিডিওতেই খুলল ভাগ্য, কলকাতার ২ খুদেকে জিমন্যাস্টিক্স শেখার প্রস্তাব রিজিজুর

প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বকে বিস্মিত করেছে আলি ও লাভলি।

Union minister Kiren Rijiju invited gymnast kids of kolkata to SAI
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 4, 2019 4:46 pm
  • Updated:September 4, 2019 4:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরনে স্কুলের পোশাক, পিঠে স্কুলের ব্যাগ- পিচের রাস্তায় অবলীলায় দুই খুদে জিমন্যাস্ট নিজেদের ক্যারিশমা দেখিয়ে চলেছে। তাদের পোড় খাওয়া ভল্ট দেখে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। ভাই-বোনের এমন অবিশ্বাস্য কীর্তি দেখে অবাক হয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানিচিও। টুইট করে আলি ও লাভলির প্রশংসা করেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এবার কলকাতার দুই প্রতিবেশী ভাই-বোনকে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাইয়ে প্রশিক্ষণের জন্য আহ্বান জানালেন তিনি।

টুইটারে কিরেন রিজিজু লেখেন, সাই থেকে শীঘ্রই আলি ও লাভলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। নিজেদের বর্তমান স্কুল ছেড়ে এসে তারা যদি সাইয়ে থেকে জিমন্যাস্টিক্সের প্রশিক্ষণ নিতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত জানানো হবে। জিমন্যাস্ট হিসেবে তাদের কেরিয়ার তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হবে। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লাও তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

tweet

[আরও পড়ুন: জকোভিচের পর বিদায় ফেডেরারের, তারকাশূন্য হচ্ছে ইউএস ওপেন!]

গার্ডেনরিচের সংঘমিত্রা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া মহম্মদ আজহারউদ্দিন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে প্রতিবেশী বোন জেসিকা খান। তাদের ডাক নাম আলি ও লাভলি। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়ে উঠছে তারা। আর্থিক অনটন জিমন্যাস্টিক্সের প্রতি তাদের ভালবাসা কেড়ে নিতে পারেনি। লুকিয়ে-চুরিয়ে নাচ শিখতে গিয়ে সামারসল্ট রপ্ত করে ফেলে দুই খুদে। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর পরিবারের সন্তানদের জিমন্যাস্ট হয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই। তাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই ডানা মেলে তাদের ইচ্ছাগুলো। কিন্তু এবার আলি ও লাভলির ইচ্ছাপূরণের সুযোগ এসেছে। রাতারাতি তাদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দুই খুদে। 

গার্ডেনরিচ এলাকার ভূকৈলাস রোডের বস্তির একটি ছোট্ট টিনের ঘরে থাকে আলি ও লাভলি। লাভলির মা রেশমা খাতুন দরজির দোকান চালান। বাবা তাজ খান পেশায় গাড়ির চালক। আলির বাবা-মা চা পাতার গুদামে দিনমজুরের কাজ করেন। রেশমা বলছেন, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কে‌নারও ক্ষমতা নেই। এমন পরিবারে ছেলেমেয়েদের জিমন্যাস্টিক্স শেখানো কল্পনারও অতীত। অত্যন্ত কষ্ট করে বড় হচ্ছে তারা। আক্ষেপের সুর আলির মায়ের গলায়। বলছেন, ছেলেকে পুষ্টিকর খাবারও দিতে পারেন না। কেবল ভাত, ডাল, সবজি। কখনও ডিম। তাই জিমন্যাস্টিক্স শেখানোর কথা ভাবতেও পারেন না।

[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে কাতার বিশ্বকাপের প্রতীক, জানেন কেন এমন দেখতে লোগোটি?]

প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সামারস‌ল্ট, কার্টহুইল ও সাইড ফ্লিপে রীতিমতো অনন্য হয়ে উঠেছে তারা। এবার হয়তো তাদের স্বপ্নপূরণের পালা। জানিয়েছে, সুযোগ পেলে ভালভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের জন্য পদক আনতে চায় তারা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement