স্টাফ রিপোর্টার: দৌড় শেষে জায়েন্ট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই হতাশায় মাথায় হাত দিলেন। দেখে মনে হতেই পারে যে একটুর জন্য হয়তো পোডিয়ামে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। যদিও বাস্তবে ঘটনাটা তা নয়। তিনি দৌড় শেষ করেছেন সবার আগে, জিতেছেন সোনা। তাও কেন এই হতাশা?
আসলে নিজের ব্যক্তিগত সেরা সময়কে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়েও হতাশায় মাথায় হাত দিতে দেখা গিয়েছে রেজওয়ানা মল্লিক হিনাকে। রবিবার অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছেন বাংলার এই অ্যাথলিট। দক্ষিণ কোরিয়ার ইচিয়নে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ৫৩.৩১ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সোনাও যেন সন্তুষ্ট করতে পারল না ৪০০ মিটার দৌড়ে জুনিয়র পর্যায়ে বিশ্বের এক নম্বর রেজওয়ানাকে!
অবশ্য রেজওয়ানার এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল। এপ্রিলের শেষে বিশকেকে অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৫২.৯৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে শুধু সোনাই জেতেননি তিনি, তৈরি করেছিলেন নতুন মিট রেকর্ড। তাই এদিন সামান্য বেশি সময় নেওয়ায় কিছুটা হতাশ বছর ষোলোর এই অ্যাথলিট। ইচিয়ন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর সঙ্গে কথা বলার সময়ও সেই আক্ষেপ লুকোলেন না রেজওয়ানা।
বছর ষোলোর এই অ্যাথলিট বললেন, “আমি আরও কম সময়ে দৌড় শেষ করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটা না হওয়ায় একটু খারাপ লাগছিল। আসলে আমার শরীরটা আজ একটু খারাপ লাগছিল। আমরা যেখানে আছি, সেখান থেকে স্টেডিয়াম দেড় ঘণ্টার পথ। তার উপর আজ বাস মিস করায় গাড়িতে যেতে হয়েছে। সেসবের প্রভাব পারফরম্যান্সের উপর পড়েছে।” তবে বিশকেকের পর এবার ইচিয়নে সাফল্য পেয়ে খুশি রেজওয়ানার কথায়, “সোনা জিতলে সবসময়ই ভাল লাগে। তাছাড়া পরপর দু’টো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলাম। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।”
ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে এবার জাতীয় সিনিয়র দলের দরজাও খুলতে চলেছে রেজওয়ানার সামনে। এবছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান গেমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা রয়েছে। সূত্রের খবর, তিন প্রতিযোগিতার দলেই রাখা হচ্ছে বাংলার এই অ্যাথলিটকে। শুধু স্কোয়াডে থাকাই নয়, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে মিক্সড রিলের ব্যাটনও উঠতে চলেছে রেজওয়ানার হাতে। ইচিয়ন থেকে ফেরার পরই তাঁকে সিনিয়রদের শিবিরে ডাকা হবে। এদিন ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সোনাটা জিতলেন ডিসকাস থ্রোয়ার ভারতপ্রীত সিং। পাশাপাশি পাঁচ হাজার মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন অন্তিমা পাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.