সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) নিজের ইভেন্টে নামার আগে দু’দিন কিছুই খাননি ভারতকে রুপো এনে দেওয়া ভারোত্তোলক মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। কারণ পরিমিত পরিমাণ খাওয়াদাওয়া না করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাঁর। সেই কারণে নিজের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্ক ছিলেন চানু। সেই কারণেই ইভেন্টে নামার দু’ দিন আগে থেকে খাওয়াদাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলেন চানু। দেশে ফিরে এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি রুপোজয়ী চানুর।
রিওতে স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল চানুর। চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁকে। টোকিওয় চানু হেসেছেন। দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সোমবার টোকিও থেকে দেশে ফিরে এসেছেন চানু। তার পর এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে পদকজয়ী ভারোত্তোলক বলেন, “ওজন নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম। তাই প্রতিযোগিতায় নামার দু’ দিন আগে থেকে কিছুই খাইনি।”
ভারোত্তোলন বিভাগের ৪৯ কেজি বিভাগে নামেন চানু। নিজের ওজন ধরে রাখতে গিয়ে অনেক কৃচ্ছ্রসাধন করতে হয়েছে তাঁকে। চানু বলেছেন, “ওজন ধরে রাখা খুব কঠিন ছিল। এই ক্যাটেগরিতে নামার জন্য ডায়েট কন্ট্রোল করাটা খুব জরুরি। মশলাদার খাবার খেতামই না। কড়াইশুঁটি আর মাংসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আমার ডায়েট।”
রিও অলিম্পিকে (Rio Olympics) ভাগ্য বিপর্যয়ের পরে টোকিওয় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিলেন চানু। দেশকে সোনা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কীভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন চানু? আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন কীভাবে? চানু বলছেন, “রিওয় ব্যর্থতার পরে মনে মনে স্থির করে ফেলি পরের বার আমাকে যে কোনও একটা পদক জিততেই হবে। কোচ বিজয় শর্মা আমাকে উৎসাহ দিতেন। বলতেন, রিওয় যা হয়েছে তা ভুলে যাও। ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হও। কোচের জন্যই আমি এতদূর পৌঁছতে পেরেছি।”
অতিমারী পরিস্থিতি এবং চোটআঘাতের জন্য চানুর প্রস্তুতি ব্যাহত হয়েছিল। চানু বলছেন, “লকডাউনে আমি অনুশীলন করতে পারিনি। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরই ট্রেনিং শুরু করি। চোট ছিল। দীর্ঘদিন বিশ্রামে ছিলাম। তার পরেই প্র্যাকটিস শুরু করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ২০ দিন অনুশীলন করার পরিকল্পনা করি। সেই মতোই ওখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আমি বিশ্ব রেকর্ড ভাঙি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার ট্রেনিং কাজে লেগে যায়।” টোকিওয় শেষ হাসি তোলা ছিল চানুর জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.