Advertisement
Advertisement
WFI

কুস্তির জাতীয় মিট করতে চায় ক্রীড়ামন্ত্রকের অ্যাড হক কমিটি, ‘বাধা’ ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের

রাজ্য সংস্থাগুলি কুস্তিগিরদের জাতীয় মিটে খেলার অনুমতিই দেবে না, দাবি ফেডারেশনের সাসপেন্ডে হওয়া সভাপতির।

Suspended wrestling body chief Sanjay Singh opposes IOA-appointed ad-hoc panel
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 2, 2024 2:33 pm
  • Updated:January 2, 2024 2:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় কুস্তি অ্যাসোসিয়েশনের (WFI) দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাড-হক কমিটি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছেন কমিটির চেয়ারম্যান ভূপেন্দর সিং বাজওয়া। পাশাপাশি, চ্যাম্পিয়নশিপের পরপরই দেশের সেরা কুস্তিগিরদের নিয়ে শিবির আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। যদিও অ্যাড-হক কমিটি বা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করছেন ডব্লুএফআই সভাপতি সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)।

দীর্ঘ টালবাহানার পর ২১ ডিসেম্বর ডব্লুএফআইয়ের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে জিতে সভাপতি হন সঞ্জয়, যিনি যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) অনুগামী হিসাবেই পরিচিত। দিন তিনেক পর নতুন কমিটিকে সাসপেন্ড করে ক্রীড়া মন্ত্রক (Sports Ministry)। তারপরই বাজওয়াকে প্রধান করে অ্যাসোসিয়েশনের কাজ চালানোর জন্য অ্যাড-হক কমিটি নিয়োগ করে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। দায়িত্ব নিয়েই দ্রুত প্যারিস অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরুর কথা জানিয়েছিলেন ভারতীয় উশু অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বাজওয়া।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বগটুইয়ের ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত ছোট লালনের মৃত্যু]

নতুন বছরের প্রথম দিনই সেই মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কথা ঘোষণা করা হল। জয়পুরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রতিযোগিতা। এর ঠিক পরেই ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শিবির শুরু হবে। পুরুষদের শিবির হবে সোনপতে, মহিলাদের পাতিয়ালায়। অলিম্পিক পর্যন্ত এখানেই প্রস্তুতি সারবেন কুস্তিগিররা। এ প্রসঙ্গে বাজওয়া বলেন, “অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে এপ্রিলে বিশকেকে এশিয়ান কোয়ালিফিকেশন টুর্নামেন্ট এবং মে মাসে ইস্তানবুলে ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফিকেশন টুর্নামেন্ট রয়েছে।” জয়পুরে পুরুষদের গ্রেকো-রোমান ও ফ্রিস্টাইল এবং মহিলাদের বিভাগ মিলিয়ে ৩০টি ওজন ক্যাটেগোরিতে লড়াই হবে।

[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব-মহারাষ্ট্রে পেট্রল পাম্পে লম্বা লাইন, জ্বালানি সংগ্রহে মরিয়া মানুষ, কেন?]

তবে অ্যাড-হক কমিটির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের অধিকার নেই বলেই দাবি করেছেন সঞ্জয়। তাঁর পালটা হুঁশিয়ারি, বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা কুস্তিগিরদের জয়পুরে লড়াইয়ের অনুমতিই দেবে না। তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা অ্যাড-হক প্যানেল বা ক্রীড়ামন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিচ্ছি না। আমরাই ডব্লুএফআই চালাচ্ছি। ওদের কোনও অধিকার নেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের। আর রাজ্যগুলি কুস্তিগিরদের অনুমতি না দিলে ওখানে লড়বে কারা?” সঞ্জয়ের দাবি, শীঘ্রই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবেন তাঁরা। “আমরা দু-একদিনের মধ্যেই কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে প্রতিযোগিতার দিন ঘোষণা করব। পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রকে চিঠি লিখে জানিয়েও দিয়েছি যে আমরা কোনও নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আর একটা-দু’টো দিন মন্ত্রকের জবাবের জন্য অপেক্ষা করব। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement