স্টাফ রিপোর্টার: এক যুগ হয়ে গেল, অলিম্পিক শুটিংয়ে কোনও পদক পায়নি ভারত। অথচ, গেমসে হকির পর এই বিভাগেই সবচেয়ে বেশিবার পোডিয়ামে উঠেছেন এদেশের অ্যাথলিটরা। এবার প্যারিস অলিম্পিকে সেই খরা কাটবে বলেই মনে করছে ভারতীয় শুটিং ফেডারেশন।
আর সেই খরা কাটানোর লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন শ্রেয়সী সিংও (Shreyasi Singh)। বছর বত্রিশের এই শুটিং প্যারিসগামী দলের নবতম সংযোজন। মহিলাদের ট্র্যাপ ইভেন্টে রাজেশ্বরী কুমারীর পাশাপাশি দেখা যাবে তাঁকেও। তবে সরাসরি কোটা জিতে অলিম্পিকে যাচ্ছেন না তিনি। পিস্তল শুটিংয়ের একটি কোটার বিনিময়ে শটগান বিভাগে একটি কোটা চেয়ে আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এদেশের শুটিং কর্তারা। কারণ ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের পাশাপাশি ২৫ পিটার পিস্তল ইভেন্টেও প্যারিসে লড়বেন মানু ভাকের (Manu Bhaker)। তাই বাড়তি থাকা একটি কোটার পরিবর্তে ট্র্যাপ ইভেন্টে একটি কোটা চেয়েছিল ভারত। সেই আবেদন গৃহীত হওয়ার পর ট্র্যাপ ইভেন্টে পাঠানো হচ্ছে শ্রেয়সীকে। তিনি আগে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা এবং এশিয়ান গেমসে (Asian Games) রুপো জিতেছেন।
তবে শ্রেয়সীকে পাঠানোর সিদ্ধান্তে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যার কারণ তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়। শ্রেয়সী বিহারের জামুই কেন্দ্রের বিধায়ক, যিনি জিতেছেন বিজেপির (BJP) টিকিটে। বছর চারেক আগে বিধায়ক হওয়ার পরও অবশ্য খেলা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। আর এভাবে শ্রেয়সীকে কোটা দেওয়ার পিছনে সেই পদের প্রভাব রয়েছে বলেই অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগের কোনও জবাব দেননি দেশের শুটিং কর্তারা। এমনিতে শ্রেয়সীর সঙ্গে রাজনীতির যোগ বেশ পুরনো। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত দিগ্বিজয় সিংয়ের (Digvijay Singh) কন্যা তিনি। দিগ্বিজয় নিজেও এক দশকের বেশি সময় সামলেছেন জাতীয় রাইফেল শুটিং ফেডারেশনের প্রধানের পদ। শ্রেয়সীর মা পুতুল কুমারীও প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর এই পারিবারিক পরিচয়ের জন্যই শুরু হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক।
শ্রেয়সীকে প্যারিস পাঠানো প্রসঙ্গে এনআরএআই-এর সচিব সুলতান সিং বলেছেন, “আমরা ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের পরিবর্তে ট্র্যাপের কোটা চেয়েছিলাম। সেই অনুরোধ গৃহীত হয়েছে। আমরা সেই কোটায় শ্রেয়সী সিংকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সব মিলিয়ে ২১ জন শুটারের স্কোয়াড এবার অলিম্পিকে (Olympic) পাঠাচ্ছে ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.