দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জাতীয় মঞ্চে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল সিঙ্গুরের ৯ বছরের বালক রীতম দাস। সম্প্রতি পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত ৪৩তম ন্যাশনাল যোগা ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রাজ্যকে রুপো এনে দিল খুদে প্রতিযোগী। এই বয়সে রীতমের অসামান্য প্রতিভার জয়জয়কার করছে গোটা বাংলা।
সিঙ্গুরের নান্দা গ্রামের হাটতলার রীতম বর্তমানে একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় শুভিপুর মর্ডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগাসনের প্রশিক্ষণ নেয় সে। ছয় বছর বয়স থেকেই যোগাসনের প্রতি রীতমের আগ্রহ দেখে তাকে যোগাসনের ক্লাসে ভরতি করিয়ে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেখানেই প্রশিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহার অধীনে প্রশিক্ষণ নেয় সে। ইতিমধ্যেই জেলাস্তরে যোগাসনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরার সম্মান এসেছে রীতমের ঝুলিতে। ২০১৬ সালে হুগলিতে কিডস গ্রুপে যোগাসন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল সে। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আপাতত রীতমের লক্ষ্য আগামী বছর মার্চ মাসে রাঁচির ফেডারেশন প্রতিযোগিতা। তার জন্য আদা-জল খেয়ে পরিশ্রম করছে এই খুদে। দিনভর চলছে কঠোর অনুশীলন।
ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত তিন ভারতীয়দের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে রীতম। তার ইচ্ছা বড় হয়ে সে প্রশিক্ষক হয়ে খেলোয়াড় তৈরি করবে। মা মালবিকা দাস জানান, ছেলে যেরকম পড়াশোনায় ভাল ঠিক তেমনই তিনি চান ছেলে বড় হয়ে যোগাসনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক। এদিকে ক্লাবের কর্মকর্তা সমীর বাগ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলাধুলোর উন্নতিকল্পে উৎসাহ দিতে ক্লাবগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। আজকে তাঁদের ক্লাবও সেই অনুদানের টাকা দিয়ে যোগাসন ক্লাস, ভলিবলে প্রতিভাবান খোলোয়াড় তৈরি করার লক্ষ্যে অনেক বেশি করে অনুপ্রাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ক্লাব থেকে জাতীয় স্তরে বহু ভলিবল খেলোয়াড় প্রতিনিধিত্বও করেছে। আগামিদিনে আরও বেশি করে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.