লন্ডন: পেটের পেশির চোটের কারণে উইম্বলডনের (Wimbledon) পুরুষদের সিঙ্গলসের সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই সরে দাঁড়ালেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল। টেলর ফ্রিৎজের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীনই পেটের পেশির চোটে কাবু হয়ে পড়েছিলেন। শেষপর্যন্ত হাল না ছেড়ে ম্যাচটি জেতেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা। ম্যাচের পর নাদাল নিজেই বলেছিলেন, নিক কিরগিয়সের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারবেন কী না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ কিংবদন্তি প্র্যাকটিসেও নেমেছিলেন। প্র্যাকটিসে অস্বস্তিবোধ হওয়ায় শেষপর্যন্ত উইম্বলডন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নাদালের পেটের পেশি ছিঁড়েছে।অবশ্য প্রথমে জানানো হয়েছিল, চোট নিয়েই নাদাল (Rafael Nadal) সেমিফাইনাল খেলতে নামবেন। কিন্তু চোটে নিয়ে খেলতে নামলে হিতে বিপরীত পারে। সেই কারণেই নাদাল টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। নাদালের সরে দাঁড়ানোয় পুরুষদের সেমিফাইনালে ওয়াকওভার পেয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন কিরগিয়স।
নাদাল (Rafael Nadal Walkover) নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর যাবতীয় আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। সেমিফাইনাল যুদ্ধে তাঁর সামনে ব্রিটিশ তারকা ক্যামেরন নুরি। কঠিন প্রতিপক্ষ মোটেই নয়। গত বছর দু’জনে শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই ম্যাচে স্ট্রেট সেটে জিতে যান সার্বিয়ান তারকা। তবু শুক্রবারের লড়াই নিয়ে জকোভিচ জোর দিয়ে বলতে পারছেন না জিতবেনই। কারণ, ঘরের মাঠে খেলতে নামবেন নুরি। বহুদিন পরে উইম্বলডনের ইতিহাসে কোনও ব্রিটিশ প্রতিদ্বন্দ্বীকে খেলতে দেখা যাবে। তাই ঘরের ছেলেকে সেন্টার কোর্টে উৎসাহ দিতে কোনও খামতি থাকবে না।
এই প্রথমবার উইম্বলডন সেমিফাইনালে ওয়াকওভার পেলেন কোনও খেলোয়াড়। জীবনে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছে গেলেন নিক কিরগিয়স। নাদাল জানিয়েছেন, “এই পরিস্থিতিতে পরপর দু’টো ম্যাচে জেতা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। সার্ভ করতেই পারছি না। নিজের প্রতি সম্মান করি আমি। তাই সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে যতটা চেষ্টা করতে হয়, সেটা না করতে পারলে কি লাভ? উলটে আমার শরীরের ক্ষতি হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নাদাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.