সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেনকে সমানে সমানে টক্কর দিয়ে তাক লাগিয়েছেন ভারতের তরুণ তুর্কি প্রজ্ঞানন্দ। দাবা বিশ্বকাপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে রানার্স আপ হয়েছেন ১৮ বছরের গ্র্যান্ডমাস্টার। আর সেই সৌজন্যেই তাঁর বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ হল। ছেলের হাত ধরে প্রজ্ঞার মা-বাবা বাড়িতে পেলেন নতুন অতিথিকে।
বিষয়টা একটু খোলসে করে বলা যাক। সদ্য সমাপ্ত দাবা বিশ্বকাপে প্রজ্ঞানন্দর অনবদ্য পারফরম্যান্সে মুগ্ধ গোটা দেশ। ব্যতিক্রমী নন শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাও। ক্রীড়াবিদদের উৎসাহ দিতে যে তিনি কার্পণ্য করেন না, সে উদাহরণ বহু রয়েছে। ক্রিকেট হোক বা ফুটবল কিংবা নীরজ চোপড়া, ভারতের খেলার দুনিয়ার তারকা এবং অচেনা প্রতিভাদের প্রাণ খুলে প্রশংসা করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রজ্ঞানন্দর পারফরম্য়ান্সেও তিনি উচ্ছ্বসিত। X প্ল্যাটফর্মে (টুইটারের বর্তমান নাম) তিনি জানান, মাহিন্দ্রা গ্রুপের তরফে প্রজ্ঞানন্দের পরিবারকে একটি অল-ইলেকট্রিক SUV উপহার দেওয়া হবে।
Appreciate your sentiment, Krishlay, & many, like you, have been urging me to gift a Thar to @rpragchess
But I have another idea …
I would like to encourage parents to introduce their children to Chess & support them as they pursue this cerebral game (despite the surge in… https://t.co/oYeDeRNhyh pic.twitter.com/IlFIcqJIjm— anand mahindra (@anandmahindra) August 28, 2023
তিনি আরও জানান, “অনেকেই বলছিল ‘থর’ উপহার দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রজ্ঞানন্দের জন্য আমার অন্যরকম পরিকল্পনা ছিল। আমি চাই মা-বাবারা আরও বেশি করে নিজেদের সন্তানদের দাবা খেলায় উৎসাহ দিন। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। ঠিক যেমন আমাদের ইলেকট্রিক ভ্যাহিক্যাল হল আমাদের ভবিষ্যতের লগ্নি। তেমনই প্রজ্ঞানন্দের মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে সমর্থন করে ভবিষ্যতের জন্য উজ্জ্বল করে তুলেছেন। সেই কারণেই আমরা ঠিক করি প্রজ্ঞানন্দর বাবা-মা শ্রীরমেশবাবু এবং শ্রীমতি নাগালক্ষ্মীকে ইলেকট্রিক গাড়িটি উপহার দেব। সেটাই হবে আমাদের তরফে ধন্যবাদ জ্ঞাপন।”
আনন্দ মাহিন্দ্রার এহেন উপহারে আপ্লুত প্রজ্ঞানন্দ। জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মায়ের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল নিজেদের একটি ইলেকট্রিক গাড়ি হোক। অবশেষে তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.