ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতশোরও বেশি কোচ নিয়ে অনলাইনে চলছিল প্রশিক্ষণ। হঠাৎই সকলের মুখ লাল হয়ে উঠল। স্ক্রিনের দিকে তো তাকানোই দায়! কেউ কেউ মাথা নামিয়ে নিলেন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই। তাবড় তাবড় কোচের স্ক্রিনে তখন ভেসে উঠেছে পর্নোগ্রাফি ছবি! শুক্রবার এমনই চূড়ান্ত লজ্জাজনক ও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হল ব্যাডমিন্টনের অনলাইন প্রশিক্ষণে।
ভারতীয় কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার কোচ অগাস ডি স্যান্টোসো ও নামরি সুরোটো ছিলেন এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে। লকডাউনের কারণ বাড়ি বসেই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন দেশের বহু কোচ। শুধু তাই নয়, কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁর অভিভাবকরাও সেই সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে নীল ছবি। এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। এমনকী পর্ন ছবি কোনওভাবেই স্ক্রিন থেকে সরছে না দেখে লগ আউট করতে বাধ্য হন গোপীচাঁদ।
তিন সপ্তাহ পাঁচদিন করে অনলাইনে চলবে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ। ৩৯টি বিষয় নিয়ে কোচদের সঙ্গে হবে আলোচনা। কিন্তু এই মহৎ প্রয়াসের তাল কাটল পর্ন ছবি। প্রশিক্ষণে উপস্থিত একজনের কথায়, স্যান্টোসোর বক্তব্যের মধ্যেই আচমকা ওই সমস্ত ছবি ফুটে ওঠে। খানিক পরে আবার। বেশ কয়েকবার স্ক্রিনে ছবিগুলি ভাসতে দেখা যায়। এত বড় পরিসরে কোনও আয়োজন করা হলে, সবকিছু ভালভাবে দেখে নেওয়া উচিত বলে মত তাঁর। কারণ সেখানে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি অনেক মহিলা কোচও উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু দোষ কার? কাঠগড়ায় সেই জুম অ্যাপ। এর মাধ্যমেই অনলাইনে হচ্ছিল প্রশিক্ষণ। অনেক কোচই তাই বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে এই অ্যাপ ব্যবহার না করাই উচিত ছিল। যদিও আয়োজক সাই (ভারতীয় স্পোর্টস অথরিটি) ও বাই (ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থা)-এর দাবি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এ ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে জুমের ওই প্রশিক্ষণ হ্যাক করা হয়নি বলেই জানাচ্ছে আয়োজকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.