ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেদিনও তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। সিডনি অলিম্পিকে ৬৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও পোল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে গোল হজম করে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। সেই চোখের জল ছিল হতাশার। অলিম্পিক পদক তাঁর কাছে অধরাই থেকে গিয়েছে। রবিবারও তাঁর চোখে জল। তবে এই অশ্রু আনন্দের। জয়ের। সাফল্যের।
ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা প্রাক্তন হকি তারকা ধনরাজ পিল্লাইয়ের চোখ ছিল ভারত বনাম গ্রেট ব্রিটেনের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে। প্যারিস অলিম্পিকে গ্রেট ব্রিটনকে শেষ আটের যুদ্ধে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালে ওঠার পর তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। এবং ভারতের এই দুরন্ত জয়ের জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব দিচ্ছেন পিআর শ্রীজেশকে। আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলছিলেন, ‘‘সত্যিই আমি আজ চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। ভারতীয় দলের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স বহুদিন দেখতে পাইনি। এখন আমি রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী যে, এই ভারতীয় দল ৪৪ বছরের খরা কাটিয়ে অলিম্পিকে সোনা জিততেই পারে।’’
টিভিতে খেলা দেখছিলেন ধনরাজ। রাজকুমার পাল জয়সূচক গোল করার পরই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘চোখ দিয়ে আনন্দে জল গড়িয়ে পড়ছিল। ২০০০ সিডনি অলিম্পিকের পর এরকম রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ আমি দেখিনি। শ্রীজেশ যেন গ্রেট ব্রিটেনের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওর পারফরম্যান্সকে একথায় অত্যাশ্চর্য ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ম্যাচটা দেখার পর আমি রীতিমতো আপ্লুত। ভীষণ খুশি। পেনাল্টি শুট আউটে চতুর্থ গোলটি করার পর আমি চিৎকার করে উঠেছিলাম। বহুদিন পর আমি ভারতের পুরো ম্যাচ দেখলাম। এক মিনিটের জন্যও নিজের জায়গা থেকে নড়িনি।’’
কথাগুলি যখন বলছিলেন, তখন আবেগে তাঁর গলার স্বর কেঁপে উঠছিল। বলছিলেন, ‘‘এই পারফরম্যান্সের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। মাথায় রাখুন, কোয়ার্টার ফাইনালে চল্লিশ মিনিটেরও বেশি সময় দশ জনে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। যেভাবে শ্রীজেশ এবং আমাদের ডিফেন্ডাররা খেলছে, তা অসাধারণ। আর পেনাল্টি শুট আউটে আমাদের যারা শট মারল, তা অনবদ্য।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.