Advertisement
Advertisement
Neeraj Chopra

‘ও আমার ছেলের মতো’, বর্ডারের ওপার থেকে নীরজের জন্য প্রার্থনা নাদিমের মায়ের

এর আগে নীরজের মা সরোজ দেবীও বলেছেন, আর্শাদ তাঁর সন্তানের মতো।

Paris Olympics 2024: Arshad Nadeem's mother showed love for Indian Javelin thrower Neeraj Chopra
Published by: Arpan Das
  • Posted:August 9, 2024 6:53 pm
  • Updated:August 9, 2024 6:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অলিম্পিকে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন আর্শাদ নাদিম। প্রথম পাকিস্তানি অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিক থেকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার পদক এসেছে তাঁর ঝুলিতে। আর্শাদের পিছনে রুপো নিয়েই থামতে হয়েছে ভারতের নীরজ চোপড়াকে। কিন্তু নীরজকে প্রতিপক্ষ বলে ভাবতে রাজি নন আর্শাদের মা। পাকিস্তানি অ্যাথলিটের কাছে ভারতের নীরজ ‘ছেলের মতো’।

এখানেই যেন মিলে যান বর্ডারের দুপ্রান্তের দুই মা। অলিম্পিকের প্রতিযোগিতার গণ্ডি পার করে সন্তানস্নেহে দুজনকে আগলে রাখেন দুজনের মা। যেমন নীরজের মা সরোজ দেবী বলেছেন, আর্শাদও তাঁর সন্তানের মতো। তাঁর মতে, প্যারিস থেকে সোনা জিতেছেন তাঁর ছেলেও। পাকিস্তানের অ্যাথলিটকে নিজের ছেলে হিসেবেই দেখেন সরোজ দেবী। তাঁর সাফ বক্তব্য, “রুপো জিতেও আমরা খুশি। আর যে সোনা পেয়েছে সেও আমারই সন্তান।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোনিয়া, রাজনাথের পর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মনু ভাকেরের, সংসদ ভবনে হল মিষ্টিমুখও]

ঠিক একই কথা শোনা গেল আর্শাদ নাদিমের মায়ের মুখেও। নীরজকে নিয়ে তিনি বলেন, “ও আমার ছেলের মতো। ও নাদিমের শুধু বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো। হার-জিত খেলার অঙ্গ। ঈশ্বর ওর মঙ্গল করুন। ও যেন আরও পদক পায়। ওরা ভাইয়ের মতো। আমি নীরজের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম।” সেই সঙ্গে তিনি নাদিমের সোনাজয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের মানুষদের। তিনি বলেন, “যেভাবে গোটা পাকিস্তান নাদিমের পাশে ছিল, তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারাও আমার ছেলের সাফল্যের জন্য প্রাথর্না করেছিল।”

[আরও পড়ুন: ‘ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ভিনেশের রুপো’, সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক শচীন]

মাঠে যতই প্রতিযোগিতা চলুক না কেন, মাঠের বাইরে দুজনের বন্ধুত্ব যথেষ্ট আলোচিত। প্যারিস অলিম্পিক (Paris Olympics 2024) শুরুর মাত্র ৫ মাস আগেও নাদিম (Arshad Nadim) জানতেন না গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নামতে পারবেন না। কারণ তাঁর ব্যবহৃত বড়শাগুলো আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করার যোগ্য ছিল না। অর্থের অভাবে আলাদা করে জ্যাভলিন কেনারও সামর্থ্য ছিল না আর্শাদের। প্রতিবেশী দেশের সতীর্থের এমন দুরাবস্থার কথা শুনে সরব হন নীরজও। পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদনও জানান তিনি। এবার কাঁটাতারের ওপার থেকে ‘মাতৃস্নেহ’ পেলেন নীরজ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement