অলিম্পিক ম্যাসকট ফ্রাইজ। ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকের দামামা বেজে গিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ জুলাই থেকে শুরু হলেও ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি খেলায় মাঠে নেমে পড়েছেন অ্যাথলিটরা। আর দর্শকদের নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে এবারের অলিম্পিকের ম্যাসকটকে। যার নাম ‘অলিম্পিক ফ্রাইজ’ (Olympics Phryge)।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এর অর্থ কী? কারণ প্রতিটা অলিম্পিকেই আয়োজক দেশ নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে ম্যাসকটের মাধ্যমে। শুধু অলিম্পিক নয়, বিশ্বের সমস্ত টুর্নামেন্টেই সেই চেষ্টা দেখা যায়। তা সে ক্রিকেট বিশ্বকাপ হোক বা ফুটবল। আর ‘গ্রেটেস্ট সো অন আর্থ’-এর ক্ষেত্রেও এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) ম্যাসকট ফ্রাইজ আসলে দেখতে ছোট্ট টুপির মতো। ঐতিহ্যবাহী টুপিগুলি রাঙিয়ে তোলা হয়েছে ফ্রান্সের পতাকার লাল, সাদা এবং নীল রঙে। আর বুকে রয়েছে প্যারিস অলিম্পিকের লোগো।
ফ্রাইজ টুপির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ফ্রান্সের স্বাধীনতা ও ঐক্যের বার্তা। ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেবে এই প্রতীক। সাধারণত, এই ধরনের টুপি ফ্রান্সের কিংবদন্তি মারিয়ানের মাথায় দেখা যায়। অনেকে একে লিবার্টি ক্যাপও বলে থাকেন। রোমান সভ্যতার আমলে দাসত্বের বিরুদ্ধে মুক্তির বার্তা তুলে ধরে এই টুপি। যা ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রতীক। আর সেটাই এবার ফিরে এসেছে প্যারিস অলিম্পিকে।
এই ম্যাসকটের মূলমন্ত্র হল, ‘অ্যালোন উই গো ফাস্টার, টুগেদার উই গো ফার্দার’। অর্থাৎ, একা একা আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারি ঠিকই, কিন্তু দল বেঁধে আমরা অনেকটা দূর পাড়ি দিতে পারি। ফ্রাইজের মাধ্যমে অলিম্পিক থেকে যেন বার্তা দিতে চাওয়া হয়েছে, সকল মানুষ একসঙ্গে কাজ করে বিশ্বকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে পারি। প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি টনি এস্তানগুয়েত। প্রসঙ্গত, গতবারের টোকিও অলিম্পিকের প্রতীক ছিল ‘মিরাটোয়া’, অর্থাৎ অন্তহীন আশার আলো। আর এবার ফ্রাইজের মাধ্যমে ফ্রান্সের ইতিহাসকে সামনে রেখে স্বাধীনতা ও সাম্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.