স্টাফ রিপোর্টার: নোভাক জকোভিচ অবশেষে প্রতিযোগিতায় নামছেন। ফেব্রুয়ারিতে এটিপি টেনিস প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সেই টুর্নামেন্টে তাঁর খেলতে কোনও সমস্যা নেই।
কোভিড (COVID-19) টিকাবিহীন খেলোয়াড় হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তাঁকে খেলতে দেওয়া হয়নি। তাই নিয়ে বিশ্বজুড়ে জকোভিচ ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে। আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় সার্বিয়ান তারকাকে একপ্রকার অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য করে সেই দেশের সরকার। বাতিল করে দেওয়া হয় তাঁর ভিসার মেয়াদ। রাফায়েল নাদাল, রজার ফেডেরারের সাথে তিনিও ২০টা গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ন’বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (Australian Open) জেতেন। এবার তাঁর লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দশবার জেতার পাশাপাশি ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে দেওয়া। অথচ বিতর্কের কেন্দ্রে থেকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
সেই জকোভিচ দুবাই ওপেনে খেলার অনুমতি পেয়েছেন। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফ্রান্স বা আমেরিকা টিকাবিহীন জকোভিচকে ঢুকতে দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। রোলা গাঁরো, ইউএস ওপেনে (US Open) তাই খেলা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টিকাকরণ (Corona Vaccination) বাধ্যতামূলক বলে বিবেচিত হয় না। তাই সার্বিয়ান তারকাকে সেখানে খেলতে কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।
যদিও, টিকা না নেওয়ায় জকোভিচের কেরিয়ারের দুঃসময় এখনই কাটছে না। কারণ, দুবাই ওপেন এটিপি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেলেও ফরাসি ওপেনের দরজাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে নোভাকের জন্য। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccination) না নিলে ফরাসি ওপেনে অংশ নিতে পারবেন না সার্বিয়ান সুপারস্টার। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, টিকা সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করেছে ফ্রান্স। যেখানে বলা হয়েছে, রেস্তরাঁ, কাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকাকরণের সার্টিফিকেট আবশ্যক। দর্শক থেকে ক্রীড়াবিদ, সকলের জন্যই একই নিয়ম লাগু করা হবে। তাই প্রত্যেককেই এই কোভিডবিধি মানতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল জকোভিচ এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেননি। নিতে চানও না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.