Advertisement
Advertisement
Neeraj Chopra

আবহাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং, তাতেও দমে যাননি, একান্ত সাক্ষাৎকারে আর কী বললেন নীরজ?

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুঁচকিতে টান পড়েছিল। তাই কমনওয়েলথ থেকে ছিটকে গিয়েছেন নীরজ।

Neeraj Chopra talks about his achievement in World Athletics Championship | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 26, 2022 2:02 pm
  • Updated:July 26, 2022 4:40 pm  

টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো নীরজ চোপড়ার। পরিস্থিতি ও আবহাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও তিনি দমে যাননি। পদকজয়ের কিছু ঘণ্টা পরেই তাঁর সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে বোরিয়া মজুমদার

ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (World Athletics Championship 2022) ২০২২, ওরেগন। প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ের জন্য যখন ডাকা হচ্ছে, নীরজ ঠিকমতো শুনতেই পেলেন না। ফলে, যখন টের পেলেন, মোটামুটি তড়িঘড়ি ছুট দিতে হল। এবং, শেষমেশ সেই থ্রো ফাউল হয়ে গেল। ফলে, চাপটা যে কী ভীষণ, বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু, নীরজ (Neeraj Chopra) তাতে দমে যাননি। ক্রমশ নিজের ছন্দে ফিরলেন, এবং তাঁর চতুর্থ থ্রো গিয়ে দাঁড়াল ৮৮.১৩ মিটার। আর তা অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরজ চোপড়াকে ওরেগনের ইউজিনে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-এ দ্বিতীয় স্থান অর্থাৎ রৌপ্যপদক এনে দিল। কথা হল যখন শেষমেশ, নীরজকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল।

Advertisement

বোরিয়া: যা-ই বলো নীরজ, টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics 2020) পুরে বদলে দিল তোমাকে। অলিম্পিকে সোনা জেতার পর থেকে এখন তোমার প্রত্যেকটি নিক্ষেপের দিকে দেশ তাকিয়ে থাকে। তোমার প্রত্যেকটা থ্রো তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং!
নীরজ: ‘ট্রেন্ডিং’ কি না বলতে পারব না। তবে দেশের হয়ে এরকম একটা জায়গায় মেডেল জিততে পেরে খুবই ভাল লাগছে। তেড়ে হাওয়া দিচ্ছিল, ফলে পরিস্থিতি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। অনেক কিছু শিখলাম এটা থেকে। শুরুতে ঠিকঠাক পারছিলাম না, ক্রমে শুধরে নিই নিজেকে। ইচ্ছা তো ছিল সোনা পাব, কিন্তু চতুর্থ থ্রোয়ের পর আমার কুঁচকিতে টান পড়ল। ফলে, রুপোতেই খুশি হতে হল। তারপরে ভেবে দেখলাম, সামনের বছরেও তো আবার এই চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। তখন দেখে নেব।

[আরও পড়ুন: আইনি জটিলতায় ধোনি, আম্রপালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নোটিস মাহিকে]

বোরিয়া: প্রতিযোগিতাটা কেমন কাটল তোমার, একটু বলো।
নীরজ: ওই যে বললাম না, পরিস্থিতি কঠিনই ছিল। হু হু হাওয়া বইছিল। আর, বলাবাহুল্য, থ্রোয়িংয়ের ক্ষেত্রে সেটা বেশ প্রতিকূল সময়। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে অনেক কিছুই শিখতে পারলাম। প্রথম থ্রোয়ের পর আমাকে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়েছিল, কারণ তার পরেই আবার থ্রোয়ের দান ছিল। আর আমি সামলে উঠতেও পেরেছি অনেকটাই, যা আমাকে রুপোর মেডেল এনে দিল। অ্যান্ডারসন পিটার্সকে সোনা জেতার জন্য অনেক অভিনন্দন। কিন্তু, আমি আরও তৈরি হয়ে ফিরে আসব পরের বছর এবং সোনার জন্যই লড়ব।

neeraj1

বোরিয়া: তোমার সঙ্গে কথা হলে পরে, টোকিও অলিম্পিকের কথা বারবার চলে আসে বটে, কিন্তু সেখানে একটা জিনিস মিসিং ছিল। ফ্যান! কোভিডের কারণে, স্ট্যান্ডে মানুষজনই ছিল না। কিন্তু ইউজিনে দেখছিলাম, তুমি ভারতীয় ফ্যানদের সঙ্গে রীতিমতো সেলিব্রেট করছিলে।
নীরজ: আনন্দ হচ্ছে। দিনের শেষে তো আমরা পারফরমারই, বলুন! আমরা দেশবাসীর জন্য, ফ্যানের জন্যই তো পারফর্ম করছি। ভক্তরা আছে বলেই না খেলা তৈরি হয়েছে, আর প্রতিযোগিতার প্রাঙ্গণে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া মানে ময়দানে আলাদা প্রাণ আসা। কেবল প্রার্থনা করি, কোভিড যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাঠে দর্শকদের দেখতে পেলে মনে হয় যে, হ্যাঁ, আবার আগের মতো সব স্বাভাবিক হচ্ছে। আর এই চেতনাটাই অনেকখানি তফাত গড়ে দেয় খেলোয়াড়ের মনে।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে মোদি সরকার, নতুন রাষ্ট্রপতিকে নালিশ বিরোধীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement