সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইম্বলডনের (Wimbledon) নতুন রানি চেক প্রজাতন্ত্রের মার্কেতা ভন্ড্রোউসোভা। শনিবার উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে ভন্ড্রোউসোভা একপেশে লড়াইয়ে ৬-৪, ৬-৪-এ ওনস জাবেউরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন। তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। টেনিসের ওপেন যুগে প্রথম অবাছাই হিসাবে উইম্বলডন জিতলেন তিনি। এবারের প্রতিযোগিতায় ভন্ড্রোউসোভার উত্থান রীতিমতো ঈর্ষণীয়। অবাছাই হিসাবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ বাছাই জাবেউরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন!
চেক তারকার প্রচুর শখের মধ্যে একটি হল, তিনি ট্যাটু করাতে ভালবাসেন। শরীরে প্রচুর ট্যাটু রয়েছে। আর রয়েছে পোষ্যের শখ। এ তো গেল তাঁর শখের কথা। তাঁর পারিবারিক ইতিহাসও চমকপ্রদ। চেক তারকার পরিবারে খেলাধুলোর চল আছে। ফলে তিনি যে তাঁর ক্রীড়া মানসিকতা দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দেবেন, অস্বাভাবিক কিছু নয়। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খুশিতে উচ্ছ্বল হয়ে উঠেছিলেন মার্কেতা। বলছিলেন, ‘‘কী যে ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছি না। অবর্ণনীয় অনুভূতি হচ্ছে।’’
রবিবার আবার ভন্ড্রোউসোভার প্রথম বিবাহবার্ষিকী। স্বাভাবিকভাবেই উইম্বলডন খেতাব জয়ের আনন্দটা আরও বেশি তাঁর। মার্কেতা বলছিলেন, ‘‘আমার কোচ বলেছিলেন, আমি যদি উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, তা হলে তিনি একটি ট্যাটু করাবেন। আমরা আরও একটি ট্যাটু তা হলে পেতে চলেছি।’’
অন্যদিকে, আরও একবার উইম্বলডন ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেন না জাবেউর। আফ্রিকার প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। হতাশ জাবেউর বলছিলেন, ‘‘আমার কেরিয়ারের সবথেকে যন্ত্রণার হার। তবে একদিন আমি জিতবই। কথা দিচ্ছি, আমি হাল ছাড়ব না।’’ গতবছর চোটের কারণে ভন্ড্রোউসোভা উইম্বলডন খেলতে পারেননি। এবার চ্যাম্পিয়ন। এবং রীতিমতো কর্তৃত্ব বজায় রেখে। তবে প্রথম সেটে দু’জনই স্নায়ুর চাপে আক্রান্ত হয়েছিলেন। একে অপরের সার্ভিস ভেঙেছেন। শেষপর্যন্ত জয়ী হন মার্কেতাই। এবং শেষে জেতেন ম্যাচও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.