সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলস। পুড়ে খাক আমজনতা থেকে সেলিব্রিটিদের বাড়ি। এমনকী অস্কার-গ্র্যামির মতো অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিতে হয়েছে। এদিকে ২০২৮ সালে এখানেই বসতে চলেছে অলিম্পিকের আসর। কিন্তু দাবানলের জেরে আদৌ লস অ্যাঞ্জেলসে অলিম্পিক হবে তো?
গত বছর প্যারিস অলিম্পিকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মশাল তুলে দেওয়া হয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলসের হাতে। গত সাত বছর ধরে সেখানে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বিধ্বংসী দাবানলের পর তার আয়োজন নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ২৪ জনের। গৃহছাড়া অসংখ্য মানুষ। আগুন কবে নিভবে কেউ জানেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রায় আগুনে পুড়ে ছারখার একটা শহরে কীভাবে অলিম্পিক আয়োজন সম্ভব?
১৭ দিন ধরে চলবে অলিম্পিক। আসতে পারেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। খরচ পড়তে পারে আনুমানিক সাত হাজার কোটি টাকা। অথচ নিঃস্ব অবস্থা থেকে শুরু করতে হবে। হাতে তিন বছরের সামান্য বেশি সময়। কিন্তু প্রশ্ন আরেক জায়গায়। অলিম্পিকের সময়ও যে দাবানলের আতঙ্ক ফিরে আসবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে? আর লস অ্যাঞ্জেলস শহরের যে জায়গাগুলোকে অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আগুন লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
লস অ্যাঞ্জেলসের অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাসি ওয়েসারমান অবশ্য এখনও আত্মবিশ্বাসী সমস্ত বাধা অতিক্রম করে ২০২৮-এ মেগা ইভেন্ট হবেই। কিন্তু দক্ষিণপন্থী মতাদর্শের প্রচারক ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় লিখে দিয়েছেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক বাতিল হওয়া উচিত। যারা আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে পারে না, তাদের অলিম্পিক আয়োজনের কোনও যোগ্যতাই নেই।’ অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ইতিহাসের অধ্যাপক বিল ডেভেরেল বলছেন, “আগুন নিভলে তার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে সাবধান হওয়া যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.