Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্নায়ুর চাপের কাছেই হার, অল ইংল্যান্ড ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ লক্ষ্য সেনের

প্রথম গেমে এমন কিছু করেনি লক্ষ্য যা নিয়ে ভাববে ড্যানিশ তারকা ভিক্টর।

Lakshya Sen's dream run at the All England Championships ended with a heartbreaking straight-game loss । Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:March 21, 2022 8:53 am
  • Updated:March 21, 2022 9:33 am  

বিমল কুমার: না, এমন হবে ভাবিনি। ভাবতে পারিনি, স্ট্রেট গেমে হার স্বীকার করে নেবে লক্ষ্য সেন। ভেবেছিলাম একটা গেম জিতে চাপে ফেলে দেবে ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনকে। যতই হোক, ২৪ ঘণ্টা আগে লি জিয়াকে হারিয়েছিল লক্ষ‌্য (Lakshya Sen)। যে আবার কিনা গতবারের অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন (All England Champion)। অথচ ভিক্টর দঁাড়াতে দেয়নি লক্ষ‌্যকে। দ্বিতীয় গেমের শুরুতে কিছুটা লড়াই ভারতীয় শাটলার করেছিল ঠিকই। তারপর যেন আর খুঁজেই পেলাম না। তবে লক্ষ্যর খেলায় আমি পুরোপুরি হতাশ হচ্ছি না। বাচ্চা ছেলে। মাত্র ২০ বছর বয়স। এই বয়সে যা করেছে, যথেষ্ট।

কথায় বলে সকাল নাকি দিনের আভাস দেয়। তাই যদি সত্যি হয় তাহলে বলতে দ্বিধা করব না, শুরুতেই ভিক্টর অ্যাক্সেলসেন পয়েন্ট নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল দিনটা ওরই। এতটা দাপট নিয়ে কখনও ওকে খেলতে দেখিনি। মানছি, র‌্যাঙ্কিংয়ে লক্ষ্যের থেকে দশ ধাপ এগিয়ে ছিল। উচ্চতা, শারীরিক সক্ষমতা, সবেতেই লক্ষ্যকে টেক্কা দিয়ে গেল অ্যাক্সেলসেন। ডাউন দ্য লাইনে বরাবর ভাল ড‌্যানিশ তারকা। প্রথম পয়েন্ট তো নিল সেই ডাউন দ্য লাইনে দুর্দান্ত একটা স্ম্যাশে। তারপরের পঁাচ পয়েন্ট টানা নিয়ে চলে গেল সেই একই ধারা বজায় রেখে। আমার মনে হয়, স্নায়ুর চাপও লক্ষ‌্যকে সমস্যায় ফেলে দিল। আসলে কঠিন প্রতিপক্ষ শুরুতে যদি এগিয়ে যায় তাহলে ঘুরে দাঁড়ানো সত্যি কঠিন। একটা সময় দেখলাম ৬-১ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছে ড‌্যানিশ সুপারস্টার। প্রথম গেমে বিরতিতে এগিয়ে ছিল ১১-২।

Advertisement

[আরও পড়ুন:শাপমুক্তি হল না কেরালার, কাট্টিমণির জাদুতে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ]

বারবার লক্ষ্যকে পিছনে গিয়ে খেলতে বাধ্য করছিল ও। তাছাড়া র‌্যালি খেলতে বাধ্য করায় শুরুতেই প্রচুর শক্তিক্ষয় ঘটে উত্তরাখন্ড বঙ্গ সন্তানের। লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে কোর্টের পিছনের দিকে শট নিয়ে। রবিবার সেই চেষ্টাও চালিয়ে ছিল। দেখলাম তাতেও সাবলীল ভিক্টর। অনায়াসে একের পর এক শট ফিরিয়ে দিচ্ছিল। তাই প্রথম গেম ১০-২১ পয়েন্টে হেরে বসল লক্ষ‌্য। বলতে বাধ্য হচ্ছি, প্রথম গেমে এমন কিছু করেনি লক্ষ্য যা নিয়ে ভাববে ড‌্যানিশ স্টার। কোর্টের পেছন থেকে বারবার আধিপত্য বিস্তার করে গিয়েছে। নেটে বরাবর ভাল খেলে লক্ষ্য। এদিন সেই নেটে খেলার সুযোগ তেমন দিলই না ভিক্টর।

তবে দ্বিতীয় গেমের শুরুতে তেমন সুবিধে করতে না পারলেও একটা সময় ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল লক্ষ‌্য। কিন্তু ভিক্টর যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই ৪–৪ করা সত্ত্বেও ভিক্টর এগিয়ে যেতে থাকে। দ্বিতীয় গেমেও ও বিরতিতে ১১-৫ এগিয়ে যায়। এই সময় দরকার ছিল ব্যবধান কমানো। কিন্তু ড‌্যানিশ শাটলার কোনও সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার থেকে পিছপা হয়নি। নিজের নিয়ন্ত্রণে খেলাটা ধরে রেখেছে। বিরতির পর তিনটে টানা পয়েন্ট পেয়েছিল লক্ষ্য। তারপর নির্ভুল শট ও প্রচণ্ড পাওয়ার গেম খেলে আবার ঘুরে দঁাড়ায় ভিক্টর। চলে যায় ১৭-১০ পয়েন্টে। তবে লক্ষ্যের লড়াইকে বাহবা না দিয়ে পারছি না। বিশেষ করে দ্বিতীয় গেমে অসাধারণ লড়াই করার মানসিকতা দেখিয়েছে। ক্রমাগত র‌্যালি করা সত্ত্বেও মনে হচ্ছিল সহজে ওকে কেউ দমাতে পারবে না। কিন্তু কী করা যাবে, দিনটা লক্ষ‌্যের আজ ছিলই না।

[আরও পড়ুন: ‘নিম্নমানের পিচ’, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেও আইসিসির রোষের মুখে ভারতীয় বোর্ড]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement