Advertisement
Advertisement
Footballer

করোনা সংকটে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবলার

সংগীতার দুর্দশার কথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কানে গিয়ে পৌঁছেছে। কী জানালেন তিনি?

International Footballer Sangeeta Soren Working As Daily-wage Worker | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 23, 2021 6:50 pm
  • Updated:May 23, 2021 8:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর আগে জীবনটা ছিল একেবারে অন্যরকম। বুটজোড়া পায়ে গলিয়ে ময়দানে নেমে পড়াই ছিল বছর কুড়ির সংগীতা সোরেনের (Sangeeta Soren) প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু করোনা আর লকডাউন এক ঝটকায় সবকিছু বদলে দিয়েছে। কোথায় ফুটবল! এখন সংসার চালাতে ইটভাটায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে। হৃদয় বিদরক এই ছবিতে ভারাক্রান্ত ফুটবল মহল।

ধানবাদের বাসামুদি গ্রামের একটি ইটভাটায় আপাতত দিনমজুরের কাজ করেন এককালে দেশের জার্সিতে খেলা সংগীতা। গত বছর লকডাউনের আগে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা হতেই বদলে যায় ভাগ্য। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন তিনি। সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা হয় তাঁর। তখনই একটি ভিডিও করে সাহায্যের আর্তি করেছিলেন সংগীতা। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সেই ভিডিও দেখে সংগীতা ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। কোনওরকম আর্থিক সাহায্য মেলেনি। তাই শেষমেশ পেট চালাতে ইটভাটাতেই দিনমজুরের কাজ বেছে নেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আচমকাই খারাপ আবহাওয়া, চিনে ম্যারাথনে অংশ নিয়ে মৃত ২১ দৌড়বিদ]

অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের জার্সিতে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সংগীতা। দারিদ্রকে কখনওই খেলায় বাধা হতে দেননি। অর্থাভাবের মধ্যেই খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। নিজের প্রতিভার জোরেই ডাক পেয়েছিলেন সিনিয়র টিমে। কিন্তু লকডাউনের জেরে সে দলে খেলার আর সৌভাগ্য হল না তাঁর।

বয়সের ভারে ন্যুব্জ সংগীতার বাবার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়েছে। কাজের অভাবে ভুগছেন সংগীতার দাদাও। তিনিও আগে দিনমজুরি করতেন। তাই বর্তমানে পরিবারের সব দায়িত্ব এসে পড়েছে সংগীতার ঘাড়ে। তাই ফুটবল নিয়ে ড্রিবলের স্বপ্ন ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে এই তরুণীর। সংগীতার মায়ের আক্ষেপ, মেয়েকে সাহায্য করতে স্থানীয় বিধায়ক কিংবা প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে নিজের স্বপ্নের সঙ্গে এত সহজে সমঝোতা করতে নারাজ তিনি। তাই তো হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরও নিয়মিত ফুটবল পায়ে অনুশীলন করেন। ইতিমধ্যেই সংগীতার দুর্দশার কথা কানে গিয়ে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর। সরকারের তরফে তাঁকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচে নাটকীয় জয়, সাত বছর পর লা লিগা চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement