Advertisement
Advertisement

Breaking News

গণধর্ষণ

হায়দরাবাদ পুলিশের সাহসিকতাকে কুর্নিশ সাইনা-ভাজ্জির, ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন’ তুললেন গুট্টা

শুক্রবার ভোর রাতে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনকে এনকাউন্টার করে পুলিশ।

Hyderabad accused shot dead: Saina, Harbhajan Singh salute police
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 6, 2019 5:15 pm
  • Updated:December 6, 2019 6:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়। অনেকেই হায়দরাবাদ পুলিশের এমন কাজের দারুণ প্রশংসা করছেন। অভিযুক্তদের মৃত্যুতে সন্তুষ্ট তরুণী পশু চিকিৎসকের পরিবার। এমনকী নির্ভয়ার মা বলছেন, এমন ঘটনায় ক্ষতে মলম লেগেছে। কিন্তু দেশের অন্য একটি অংশ আবার এনকাউন্টারের বিরোধিতায় সরব। তাঁদের মতে, এভাবে বিচার ছাড়াই কাউকে প্রাণে মারা সঠিক কাজ নয়।

শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চার অভিযুক্তকে। ঠিক সেই সময়ই আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পুলিশকে ইট ছুঁড়ে হামলার চেষ্টাও করে। আত্মরক্ষায় পালটা গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতেই মৃত্যু হয় চারজনের। গোটা ঘটনায় তেলেঙ্গানা প্রশাসন ও হায়দরাবাদ পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং। টুইটারে তিনি লেখেন, “তেলেঙ্গানা প্রশাসন ও পুলিশ দারুণ কাজ করেছে। দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেই কাজ করতে হয়। ভবিষ্যতে কেউ যেমন এ কাজ (ধর্ষণ) করার সাহস না পায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ধোনি…ধোনি’ জয়ধ্বনি শোনা দরকার ঋষভের, কেন একথা বললেন সৌরভ?]

একই সুর অলিম্পিকে পদকজয়ী শাটলার সাইনা নেহওয়ালের গলাতেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে লেখেন, “দারুণ কাজ করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। আমরা তোমাদের স্যালুট জানাই।” হায়দরাবাদ পুলিশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। “হায়দরাবাদ পুলিশ ও তাদের নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই, যাতে এই এনকাউন্টার সম্ভব হয়েছে। গোটা দেশ জানল, খারাপকে হারিয়ে সর্বদা ভালরই জয় হয়।” বলেন রাঠোর। ধর্ষকরা ক্ষমার যোগ্য নয় বলে সুর চড়ান প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। 

কিন্তু এনকাউন্টার নিয়ে আরেক শাটলার জোয়ালা গুট্টার গলায় উলটো সুর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। লেখেন, “এভাবে কি ধর্ষকদের আটকানো সম্ভব হবে? আর একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেক ধর্ষকের সঙ্গে একই বিচার করা হবে তো?” মানেকা গান্ধী থেকে বিশাল দাদলানি, যাঁরা এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের মন্তব্যই রিটুইট করেছেন জোয়ালা।

[আরও পড়ুন: এবার ‘নো বল’ দেখার দায়িত্বও থার্ড আম্পায়ারের! নয়া নিয়ম আনছে আইসিসি]

এনকাউন্টারের ঘটনাকে যেমন নিজেদের জয় বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষের একাংশ, তেমনই একাংশের দাবি, এভাবে বিচার-ব্যবস্থা-শুনানি ছাড়া অভিযুক্তদের প্রাণে মেরে ফেলা সমর্থনযোগ্য নয়। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক-আলোচনা চলবেই। তবে এর মধ্যে স্বস্তি একটাই। এই ঘটনা তরুণীর পরিবারের ক্ষতে অনেকখানি মলম দিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement