সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাটিয়ালার নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পোর্টস (Netaji Subhas National Institute of Sports)। খাতায় কলমে এশিয়ার বৃহত্তম ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, দেশের মধ্যে সবচেয়ে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে SAI-এর এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিতে। অথচ, সেই এনএস-এনআইএসেই কিনা খাবারের মান খারাপ। শুধু মান খারাপ বললে ভুল হবে, দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়া প্রশিক্ষণ শিবিরের খাবার-দাবার রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর। আর কেউ নন, এই অভিযোগ করেছেন খোদ দেশের প্রথম সারির প্রতিভাবান স্প্রিন্টার হিমা দাস (Hima Das)। অন্যান্য অ্যাথলিটরাও বলছেন একই কথা।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কে এই পাটিয়ালার নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পোর্টস। দিন কয়েক আগেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে করোনা বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, এখানে থাকাকালীনই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙেছিলেন অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়া দুই বক্সার। এবার সেখানেই নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ। অ্যাথলিটরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যান্টিন থেকে শুরু করে রান্নাঘর পর্যন্ত পুরোটাই অস্বাস্থ্যকর। আর যে মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতে আর যাই হোক, আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট জেতা যায় না।
দিন কয়েক আগে নাকি খোদ হিমা দাসের খাবারে পাওয়া গিয়েছিল মানুষের নখ। যার ছবি তুলে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেন হিমা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষে রেগেমেগে হিমা অভিযোগ জানান ক্রীড়ামন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে (Kiren Rijiju)। রিজিজু দ্রুত স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ SAI কর্তাদের বিষয়টি জানান, এবং দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশ মতো সাই কর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই একটি খাদ্য পরিদর্শন কমিটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের সেরা অ্যাথলিটরা যেখানে অনুশীলন করেন, সেখানে খাবার-দাবারের এই অবস্থা কেন? এই মহামারীর আবহেও কি আরেকটু যত্নশীল হতে পারেন না আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.