নন্দিনীর কাছে স্বপ্না ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক থামবে?
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারিভাবে চলতি এশিয়ান গেমসে (Hangzhou Asian Games 2023) ব্রোঞ্জ জিতেছেন নন্দিনী আগাসারা (Nandini Asagara)। সেটা মেনে নিতে পারেননি স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman)। সতীর্থ নন্দিনীকে ‘রূপান্তরকামী’ বলে অভিযোগ তুলে মারাত্মক বিতর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন স্বপ্না। হেপ্টাথেলন ইভেন্টে পদক হাতছাড়া করেছিলেন বঙ্গ তনয়া। আর এর পরেই এই ইস্যু নিয়ে টুইট করলেও, সেটা কিছুক্ষণ পরেই মুছে দিয়েছিলেন। তবে সোশাল মিডিয়ার যুগে সেই মুছে দেওয়া টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। আর এবার টুইট করেই নন্দিনীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন স্বপ্না। কিন্তু প্রশ্ন হল এরপরেও কি বিতর্ক থামবে?
স্বপ্না ক্ষমা চেয়ে টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমি সে দিন যে টুইট করেছিলাম তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বিশেষত আমার সহ-অ্যাথলিটের কাছে। নিছক হতাশা এবং মানসিক স্থিতি ঠিক না থাকার ফলে আমি খেলাধুলার নীতির বিরুদ্ধে এইভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম। এমনভাবে মানসিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা উচিত ছিল না। সেইজন্য প্রত্যেকের কাছে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
I wish to tender my unconditional apology for my tweet the other day specially to my co-athlete was the sheer disappointment and momentous emotional outburst which made me react in this manner against the ethos of sports and deeply feels sorry everyone for my emotional reaction🙏🏻
— Swapna Barman (@Swapna_Barman96) October 5, 2023
সেই সময় কী অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্না? টুইটারে স্বপ্না অভিযোগ করেছিলেন, ‘একজন রূপান্তরকামী মহিলার কাছে আমি নিজের ব্রোঞ্জ পদকটা হারালাম। এই পদকটা আমি ফেরত চাই। কারণ এটা একেবারেই অ্যাথলেটিক্সের নিয়মবিরুদ্ধ। আমি আপনাদের সাহায্য চাই। আমাকে সহযোগিতা করুন।’ স্বপ্নার সেই টুইট মুছে দিলেও, মুহূর্তের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নন্দিনী কাছে মাত্র ৪ পয়েন্টে হেরে গিয়েছিলেন স্বপ্না। ফলে চার নম্বরে থেমে যান ২০১৮ সালের জাকার্তা এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না। এই ইভেন্টে নন্দিনী আগাসারা ৫,৭১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন। সেই সেখানে স্বপ্নার পয়েন্ট ছিল ৫,৭০৮।
স্বপ্না পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “এই পদকের দাবিদার শুধু আমি। আমি অবিচারের শিকার হয়েছি। সেটা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। স্বপ্না ফের যোগ করেন, “রূপান্তরকামী অ্যাথলিদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা আড়াইয়ের উপর থাকে। ফলে ২০০ মিটারের ঊর্ধ্বে ওরা অংশগ্রহণ করতে পারে না। হেপ্টাথেলনে কোনও মহিলা সহজে জয়লাভ করতে পারে না। আমি গত ১৩ বছর ধরে অনুশীলন করছি। আর ও মাত্র চার মাস অনুশীলন করেই পদক জিতে যাবে! এটা হতে পারে না। দরকার হলে আমি নাডা এবং ওয়াডা-র আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানাতে পারি।”
যদিও স্বপ্নার অভিযোগকে পাত্তা দিতে রাজি হননি পদকজয়ী নন্দিনী। তিনি পালটা বলেছিলেন, “আমি জানি আমি কীভাবে এত বড় মঞ্চে এসেছি। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। আমিও কিন্তু দেশের হয়ে পদক জিতেছি। এবং দেশের জন্য আরও পদক জিততে চাই।” এরপর থেকে থেমে না থেকে তিনি ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন। নন্দিনী যোগ করলেন, “আমি পদক জয়ের পর থেকে অনেকেই আমাকে অপমানজনক মন্তব্য করেছে। তবে আমিও চুপ থাকার পাত্রী নই। দরকার হলে ব্যাপারটা ভারতের অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কাছে নিয়ে যাব। এই মুহূর্তে পদক জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে চাই।”
এমন প্রেক্ষাপটে এবার নন্দিনীর কাছে সোশাল মিডিয়াতে ক্ষমা চেয়ে নিলেন স্বপ্না। কিন্তু এরপরেও কি বিতর্ক থামবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.