ফের বিতর্কে জড়ালেন দ্যুতি চাঁদ। ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের (Banned Substance) দায়ে তাঁকে চার বছর নির্বাসিত করেছিল ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (National Anti Doping Agency)। তবে সেই শাস্তিকে এবার কড়া চ্যালেঞ্জ জানালেন দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand)। ডোপ করার অভিযোগে নির্বাসিত হলেন স্প্রিন্টার দ্যুতি। নাডার তরফ থেকে সাময়িকভাবে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে ন্যাশনাল গেমসের সময় দ্যুতির নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগের অস্তিত্ব ধরা পড়েছিল। ডিসেম্বর মাসে সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দ্যুতিকে সাসপেনশনের নোটিস ধরিয়েছিল নাডা (NADA)। তবে সেই নির্বাসনকে মানতে নারাজ ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2018) জোড়া রুপো জয়ী স্প্রিন্টার।
বিষয়টি নিয়ে দ্যুতি মুখ না খুললেও, তাঁর আইনজীবী পার্থ গোস্বামী বলেন, “দ্যুতি দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। কিন্তু বারবার তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাব। যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। তা ছাড়া যে সময় ওযুধ খাওয়া হয়েছিল, তখন কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই। তাই আমাদের তরফ থেকে নির্বাসনের শাস্তি মকুবের জন্য আবেদন করা হবে।”
তবে দ্যুতির আইনজীবী যাই বলুন, অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেল কিন্তু অন্য কথা বলছে। এডিডিপি-র তরফ থেকে বলা হয়েছে, “একজন অ্যাথলিট নিষিদ্ধ কিছু গ্রহণ করেছিলেন। এমন গুরুতর গাফিলতি বা অপরাধ হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। ডোপিং বিরোধী আইন অনিচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন হয়েছে, দ্যুতি সেই মর্মে এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। আর তাছাড়া অভিযুক্ত অ্যাথলিট কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না নিয়ে নিজের ফিজিয়ো থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ খেয়েছিলেন। এছাড়া দ্যুতি অ্যাথলিক ওষুধ খাওয়ার আগে তার উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হননি। এছাড়া ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) বেশ কয়েক বছর আগে নিষিদ্ধ ওযুধের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল। দ্যুতি সেই নির্দেশিকাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন।”
তবে ২১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন ২৬ বছরের ক্রীড়াবিদ। এশিয়ান গেমসে একাধিক পদকজয়ী অ্যাথলিট নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন। গত বছর ৫ ও ২৬ ডিসেম্বর দ্যুতির নমুনা নেওয়া হয়। দু’টি নমুনাতেই একইরকম নিষিদ্ধ বস্তু ‘সিলেকটিভ অ্যান্ড্রোজেন রিসেপটর মডুলেটরস’ পাওয়া গিয়েছে। অস্টিওপরোসিস, রক্তাপ্লতা, ক্ষত সারানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এই বস্তুটি। এটি নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ডোপ-বিরোধী সংস্থা (ওয়াডা)। সেই কারণেই দ্যুতিকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে দ্যুতি নাডার নিয়মের ২.১ এবং ২.২ নিরয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এরফলে তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হল। শক্তি বাড়াতে নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ারও অভিযোগ উঠল দ্যুতি চাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁর নমুনায় পাওয়া গিয়েছে ওষুধ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে উঠা যাবতীয় অভিযোগ প্রথমে খারিজ করে দিয়েছেন দ্যুতি। এবং নির্বাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.